বুধবার (১ জানুয়ারি) ইসি’র জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
এ উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের সকাল সাড়ে ১০টায় ব্রিফ করবে কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ব্রিফ করবেন।
এসময় ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এবং এনআইডি মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর উপস্থিত থাকবেন।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, প্রতি বছর ২ জানুয়ারি হালনাগাদ ভোটার তালিকা হয়ে থাকে৷ এ পর্যন্ত ১৭ লাখ তথ্য আমাদের হাতে আছে, যেটা ২ জানুয়ারি ২০২৫ সালে আমরা সন্নিবেশ করবো এবং তারা নতুন ভোটার হিসেবে তালিকায় যুক্ত হবেন। তবে পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে এই তথ্যটা পূর্ণাঙ্গ হয় না৷ কারণ অনেকেই অফিসে এসে নিবন্ধন সম্পন্ন করেন না৷ আনুমানিক ৪৫ লাখ হতে পারতো এই সংখ্যাটা। আমাদের হাতে যে ১৭ লাখ তথ্য আছে তার মধ্যে ১৩ লাখ আমরা ২০২২ সালে সংগ্রহ করেছিলাম। আর বাকি চার লাখ আমাদের বিভিন্ন অফিসে এসে এই বছরে নিবন্ধন করেছেন৷ অর্থাৎ আমাদের ধারণা ২৭ থেকে ২৮ লাখ ভোটার (কম-বেশি হতে পারে) যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য।
তিনি আরও বলেন, যারা বাদ পড়লেন আমরা চাই তারা ভোটার তালিকায় যুক্ত হোক৷ এজন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের তথ্য সংগ্রহ করবো। এই বাদপড়া ভোটাররা ছাড়াও ২০২৫ সালে যারা ভোটার হবেন অর্থাৎ ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য হবেন তাদের তথ্যও আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করবো।
আগামী মার্চের পর থেকে এই কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।
ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশের নাগরিকরা ১৮ বছর বয়স পূর্ণ করলেই ভোটার হতে পারেন। এজন্য বছরের যেকোনো সময়ই ভোটার হওয়া যায়। তবে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে প্রতি বছরের ২ মার্চ। তার আগে ২ জানুয়ারি খসড়া তালিকা প্রকাশ করে দাবি ও আপত্তি নেয়।
সেগুলো নিষ্পত্তির পরই প্রকাশ করা হয় চূড়ান্ত তালিকা। আর এই তালিকার ভিত্তিতেই অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচন।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হতে পারে।
সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, দেশে ভোটার রয়েছে ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন।