গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন : শাকিল খন্দকার (২৪), জুয়েল খন্দকার ( ৪৮) এবং শাকিল আহমেদ (২৮)। এদের মধ্যে জুয়েল খন্দকার ও শাকিল খন্দকার সম্পর্কে বাবা-ছেলে।
বুধবার (৫ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে থানায় নেওয়ার পর মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।
তবে এ বিষয়ে বুধবার বিকেলে গুলশান পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলেও তাদের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গ্রেপ্তারকৃত শাকিল আহমেদ (২৮) একসময় বাসাটিতে কেয়ারটেকারের কাজ করতেন। সেই মূলত জনতাকে ২০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা পাওয়া যেতে পারে তথ্য দিয়ে বাসাটিতে তল্লাশি চালানোর জন্য উসকানি দেয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। এর আগেও পরশু রাত ১০টার দিকে বাসাটিতে ঢোকার চেষ্টা করে এক দল। পরে পুলিশ খবর পেয়ে তাদের সরিয়ে দেয়।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ১২টায় এক দল লোক এইচ টি ইমামের ছেলের বাসায় বিপুল অবৈধ টাকা-পয়সা রয়েছে দাবি তুলে ঢুকে পড়ে। পরে তারা বাসার দ্বিতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় তল্লাশি চালায়। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। পরে সেখান থেকে তিনজনকে আটক করা হয়। এসময় গুলশানের বিভাগের ডিসি, ওসি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা সেই বাসায় তল্লাশির নামে মালামাল লুটপাটের চেষ্টা করে। বাসার ভেতরে যত জিনিসপত্র ছিল সব তছনছ করে তারা। এসময় তাদের দলে ২০ থেকে ২৫ জন ছিল। বাসার লোকজন তাদের ভয়ে বাধাও দিতে পারেনি।