বাংলাদেশকে জয় এনে দিতে ৮৯ বলে ৫০ করেন ফারজানা, সুপ্তার ব্যাট থেকে আসে ৬৩ বলে ৪৩ রান। জ্যোতি ফেরেন ৩৯ বলে ৪০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে। ২৯ বলে ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন স্বর্ণা। মিরপুরে নারী ওয়ানডেতে এটাই সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করা জয় মেয়েদের।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। পঞ্চম ওভারে দলীয় ১৫ রানে ওরলা প্রেডেরগেস্টের বলে গালিতে গ্যাবি লুইসের দারুণ ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার মুর্শিদা খাতুন। ১৪ বলে ৬ রান করেন তিনি। তবে তৃতীয় উইকেটে শারমিন আক্তারকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনার ফারজানা হক।
দুজনের ব্যাটে ভর করে শুরু ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগ্রেসরা। গড়েন ৮৫ রানের জুটি। তবে ফিফটি তুলতে পারেননি শারমিন। ৬৩ বলে ৪৩ রান করে আউট হন তিনি। কিন্তু অপর প্রান্ত আগলে রেখে ফিফটি তুলে নেন ফারজানা। তবে এরপর আর পিচে থাকতে পারেননি তিনি। ৮৯ বলে ৫০ রান করে ক্যাচ আউট হন এই টাইগ্রেস ওপেনার।
এরপর সোবহানা মোস্তারিকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। মোস্তারি ১৬ রান করে আউট হলে ৪০ রান করে তাকে সঙ্গ দেন জ্যোতি। শেষ পর্যন্ত স্বর্ণা আক্তারের অপরাজিত ২৯ রানে ভর করে ৫ উইকেট এবং ৩৭ বল হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। এতে এক ম্যাচ আগে সিরিজ নিশ্চিত করে টাইগ্রেসরা।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ ওভারে প্রথম উইকেট হারায় সফরকারী আয়ারল্যান্ড। অফ স্পিনার সুলতানা খাতুনের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান আইরিশ অধিনায়ক গ্যাবি লুইস। তিনে নেমে এরপর এমি জুটি বাধেন সারাহ ফরবেসের সঙ্গে। দুজনের জুটি অবশ্য ২৬ রানের বেশি আনতে পারেনি। সারাহকে এলবিডব্লিউর শিকার করেন নাহিদা আক্তার।
আয়ারল্যান্ড বড় জুটি পায় চতুর্থ উইকেটে। এমি আর অরলা মিলে যোগ করেন ৯১ রান। তাদের জুটিতে এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল আইরিশরা অনায়াসে ছাড়িয়ে যাবে দুইশো। দলের ভীষণ প্রয়োজনে এই জুটি ভাঙেন স্বর্ণা আক্তার। ৬৮ কয়া এমিকে এলবিডব্লিউতে থামান তিনি। ওরলা ৩৭ করে ফেরেন রান আউটে।
শেষের দিকে আয়ারল্যান্ডের রান দুইশর কাছে নিতে ভূমিকা রাখেন লাউরা ডেলানি ও লেহ পল। লাউরা ৫০ বলে করেন ৩৩, পলের ব্যাট থেকে ২৫ বলে আসে ১০ রান।
ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে ১০ ওভার বল করে ৩২ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট সুলতানা। এছাড়া নাহিদা ও সোমা একটি করে উইকেট শিকার করেন।