মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে সমগ্র জেলা। প্রয়োজন ছাড়া খুব একটা মানুষজন ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। তীব্র শীতে শিশু বৃদ্ধ এবং নারীরা পড়েছেন চরম বিপাকে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে সকাল ১০টা অতিবাহিত হলেও সূর্যের দেখা মিলছে না। তাপমাত্রা গতকালের চেয়ে কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও কনকনে হিমেল হাওয়ায় জবুথবু হয়ে পড়েছে খেটে-খাওয়া সাধারণ মানুষ।
গত ৩ দিন ধরে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় দেখা মেলেনি সূর্যের। ফলে ঠান্ডার তীব্রতা অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্থবির হয়ে পড়েছে জেলার সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা। হিমেল বাতাস ও কুয়াশায় বিপাকে পড়েছে জেলার নদ-নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলের খেটে-খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষজন। অনেকেই কাজে যেতে পারছেন না।
কুড়িগ্রাম পৌর শহরের রিকশা চালক আখের আলী, আমজাদ ও শুকুর আলী বলেন, শরীর কাঁপানো কনকনে ঠান্ডা শুরু হইছে। শহরে মানুষ খুব কম। ফলে যাত্রীও পাচ্ছি না। গত তিনদিন থেকে একই অবস্থা। এমন ঠান্ডা থাকলে তো আমাদের মতো গরিব মানুষগুলার না খেয়ে থাকতে হবে।
উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া বলেন, আমার ইউনিয়নটির চারিদিকে ব্রম্মপুত্র নদ। যার কারণে সবসময় ঠান্ডা এখানে বেশি থাকে। কয়েকদিনের ঠান্ডায় এখানকার চরের মানুষজন ভীষণ কষ্টে পড়েছে। এখন পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোনো শীতবস্ত্র পাইনি। জরুরি ভিত্তিতে এখানে শীতবস্ত্রের প্রয়োজন।
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গতকাল ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে তাপমাত্রা আরও নিম্নগামী হবে।
এ সময় জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ২-৩টি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।