পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই মসজিদটিতে রমজান মাস উপলক্ষ্যে পবিত্র কোরআন শিক্ষার আয়োজন করা হয়। সেখানে কোরআন শিখতে আসত ধর্ষণের শিকার কিশোরী। অভিযুক্ত ইমাম শফিকুর রহমান ভুক্তভোগী কিশোরীকে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করতে থাকে। এরমধ্যে গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে যোহরের নামাজের বিরতিতে অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরা বের হয়ে গেলে কৌশলে মসজিদের হুজরা খানায় ওই কিশোরীকে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেয়। কিশোরী ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখে এবং নিয়মিত কুরআন শিক্ষা কার্যক্রমে যেতে থাকে। কিন্তু শনিবার(৮ মার্চ) তারিখে একইভাবে সে আবারও তাকে হুজরা খানায় নিয়ে গিয়ে পুনরায় ধর্ষণ করে।
পরে রবিবার (০৯ মার্চ) বিকালে বিষয়টি পরিবারকে জানালে এলাকাবাসী মিলে অভিযুক্ত ইমামকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান আকন্দ বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। আসামি আটক আছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কিশোরীকে মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।