pressbd24
ঢাকাশুক্রবার , ২ মে ২০২৫
  1. অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
  6. ইসলাম
  7. এক্সক্লুসিভ
  8. কৃষি ও পরিবেশ
  9. খেলাধুলা
  10. চট্রগ্রাম প্রতিদিন
  11. জবস
  12. জাতীয়
  13. ট্যুরিজম
  14. ড. মুহাম্মদ ইউনূস
  15. তথ্য প্রযুক্তি
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গাজীপুরে ডিবি পরিচয়ে ৯৮ লাখ টাকা লুটের ঘটনায়,আটক ৪

অনলাইন ডেস্ক
মে ২, ২০২৫ ৭:৪৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

গাজীপুরের বাসন থানার চান্দনা চৌরাস্তায় রিয়াজ টাওয়ারের ৬ষ্ঠ তলায় মাল্টিপয়েন্ট বিডি নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ৯৮ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় মূল হোতাসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

শুক্রবার (২ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই জেলা ইউনিটের পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ।

আটকরা হলেন – মো. আব্দুর রহমান, রবিউল ইসলাম, উজ্জ্বল ও মিরাজ।

পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গত ১৪ এপ্রিল মাল্টিপয়েন্ট বিডির অফিসের কার্যক্রম চলাকালীন অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা অফিসে প্রবেশ করে নিজেদেরকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে অস্ত্রের মুখে -ভীতি প্রদানসহ অফিসের কয়েকজনকে এলোপাথাড়ি মারপিট করে। একপর্যায়ে আসামিরা অফিসের ভল্টে থাকা নগদ ৯৮ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরের দিন প্রতিষ্ঠানের জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ একরামুল হক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে জিএমপি পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই তদন্ত শুরু করে। এক পর্যায়ে ২৩ এপ্রিল ঢাকার ফকিরাপুল কাঁচাবাজার এলাকা থেকে মূল হোতা আব্দুর রহমান ওরফে রাজনকে আটক করা হয়।

পরে তার দেওয়া তথ্যমতে, ২৮ এপ্রিল লুণ্ঠিত ২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা উদ্ধার ও‌ ঘটনায় জড়িত রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়।

৩০ এপ্রিল ভোলা জেলার দুলারহাট থানার শিকদারের চর কিল্লার মাঠ এলাকা থেকে আসামি দুই ভাই উজ্জ্বল ও মিরাজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে আসামিদের হেফাজত থেকে লুণ্ঠিত ২২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, আব্দুর রহমান ওরফে রাজন দুই মাস আগে চান্দনা ঈদগাহ মাঠে ঘুরতে গেলে রবিউলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তখন রাজন জানায় তাদের অফিসে অনলাইনে ক্যাসিনো এবং অবৈধ লেনদেনের ব্যবসা চলে। এই আলোচনার ১০-১৫ দিন পর রবিউল আব্দুর রহমানকে নিয়ে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু মিরাজের কাছে যায়। মিরাজের কাছে তাদের অফিসে অনলাইন ক্যাসিনোর ব্যবসার কথা বলে। পরে  মিরাজ তার আপন ভাই উজ্জলকে নিয়ে তার কাছে আসে এবং উজ্জ্বল ঢাকায় মিন্টু রোডে ডিবি অফিসে চাকরি করেন বলে জানায়। মিরাজ এবং উজ্জ্বল মিলে পরিকল্পনা করে তারা ডিবি পরিচয়ে নগদ ডিস্ট্রিবিউটর অফিসে ঢুকে কম্পিউটার তল্লাশি দিয়ে ক্যাসিনোর সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য সংগ্রহ করে অফিসের টাকা পয়সা হাতিয়ে নিবে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী  উজ্জ্বল, মিরাজসহ আরও ৪ জন নগদ ডিস্ট্রিবিউটর অফিসে প্রবেশ করে ডিবির পরিচয় দিয়ে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে অফিসের ভল্টের থাকা ৯৮ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। আসামি আব্দুর রহমান ওরফে রাজন ঘটনার দিন পূর্ব পরিকল্পনা করে একটি তালা কিনে আসামি উজ্জলকে দেয়। ঘটনার পর আসামি উজ্জ্বল তালা দিয়ে অফিসের বাইরের দিক থেকে সবাইকে তালাবদ্ধ করে দেয়। পরে আব্দুর রহমান অভিনয় করে তালা ভেঙে তাদের উদ্ধার করে। ঘটনার পর মিরাজ, আব্দুর রহমানের বাসায় গিয়ে তাকে লুটের ৩ লাখ টাকা দেয়।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, ঘটনায় জড়িত উজ্জ্বল ও মিরাজ জানায়, ঘটনার দিন তারা মোট ১০ জন ছিল।

উজ্জ্বল ও মিরাজসহ ৬ জন প্রতিষ্ঠানের ভেতরে প্রবেশ করে এবং অপর ৪ জন নিচে দাঁড়িয়ে পাহারা দেয়।

আসামিরা প্রাণ নাশের ভয় দেখিয়ে ৩টি ব্যাগে নগদ অফিসের ভল্টের থাকা টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।