রবিবার (২২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে ডাক্তারদের অধিকার আদায়ের প্রতিষ্ঠান ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস সোসাইটির আহ্বানে এ কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে।
কর্মবিরতি পালন করা চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ২০২২ সাল থেকেই বেসরকারি পোস্ট গ্রাজুয়েট চিকিৎসকদের যৌক্তিক দাবি ভাতা বৃদ্ধির জন্য রাজপথে আন্দোলন করে আসছে।
একই দাবিতে বিসিপিএস, বিএসএমএমইউ, স্বাস্থ্য শিক্ষা মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য সচিব এবং সহকারী স্বাস্থ্য উপদেষ্টা প্রফেসর ডা. সায়েদুর রহমানসহ সকলের সাথে দেখা করেছেন আন্দোলনরতরা।
এসময় তারা ভাতা বৃদ্ধির দাবিকে যৌক্তিক বলেন, এবং দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন বলে কথা দেন। ভাতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় নথি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলেও নথিটি অর্থ ছাড়ের জন্য অনুমোদিত হয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে পৌঁছেনি। এরই প্রেক্ষিতে ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস সোসাইটি এ কর্মবিরতির ডাক দেয়।
পোস্ট গ্রাজুয়েট চিকিৎসকদের অবস্থান কর্মসূচির সাথে একাত্মতা পোষণ করেছে ডাক্তারদের বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠন। যার মধ্য অন্যতম ড্যাব, এনডিএফ ও চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি দ্রুত তাদের দাবি পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
এনডিএফের পক্ষে বক্তব্য দেন এনডিএফ চট্টগ্রাম মহানগর সেক্রেটারি ডা. ইরফান চৌধুরী।
তিনি বলেন, ডাক্তারদের যেকোনো যৌক্তিক আন্দোলনে এনডিএফ সবসময় পাশে থাকবে ইনশাআল্লাহ।
এসময় তিনি প্রাইভেট ট্রেইনি ডাক্তারদের এই যৌক্তিক আন্দোলনে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
পোস্ট গ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টর অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন সংগঠনটির আহবায়ক ডা. জুনায়েদ আহমেদ, সদস্য সচিব ডা. আনিকা সাত্তার, নির্বাহী সদস্য ডা. রায়হান আহম্মেদ।
তারা বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সাথে আমরা জানাতে বাধ্য হচ্ছি যে, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে স্বাধীনতার দ্বিতীয় সূর্য উদিত হয়ে ৪ মাস পূর্ণ হওয়ার পরেও আমাদের স্বাস্থ্যখাত এখনো পরিবর্তনের মুখ দেখতে পায়নি।
ডাক্তার পেশার পদবি থেকে শুরু করে ডাক্তার নিগ্রহ, অনিরাপত্তা, নিপীড়ন, হেয়-হেনস্তা হওয়া ক্রমাগত বেড়েই যাচ্ছে। আশা ও সান্ত্বনার ফুলঝুড়ি ছাড়া আমাদের প্রাপ্তির খাতা শুন্য।
তারা বলেন, আমাদের পেশা একটি মানবিক পেশা হওয়ার দরুণ ক্রমাগত বিভিন্ন কঠোর পদক্ষেপ নিতে যেয়েও দেশ ও দেশের সাধারণ জনগণের কথা ভেবে আমরা পিছিয়ে এসেছি। কিন্তু লাগামহীন এই দ্রব্যমূল্যের বাজারে যেখানে আমাদের পরিবার অভুক্ত সেখানে আমাদের পক্ষে আর মানবিকতা নিয়ে টিকে থাকা সম্ভবপর হচ্ছে না।
বিগত ৪ মাসে আমরা সকল প্রকার দাপ্তরিক ও প্রক্রিয়াগত কাজ সম্পন্ন করার পরেও কোনো আশানুরূপ ফলাফল পাইনি। তাই এই ধরণের কর্মসূচি নিতে বাধ্য হয়েছি। আমরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাবো।