
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান এসপি মুহম্মদ আব্দুর রকিব।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) মো. লুৎফুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার মুকুর চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
আটক আসামি পারভেজ সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার ফিরোজপুর গ্রামের ইসমাইল সরদারের ছেলে। তিনি বসবাস করেন খুলনা সদরের নিরালা আবাসিক এলাকায়।
অন্য আসামি খলিল পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানি থানার দক্ষিণ ইন্দুরকানি গ্রামের নেছার উদ্দিন মৃধার ছেলে। তিনি থাকেন চাঁদপুর সদরের এনায়েতনগর শেখের হাট আশ্রয় বাড়িতে।
ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, গত ১৫ অক্টোবর দিনগত রাতে বাজারের থানা মোড় এলাকার মন্টু কর্মকারের মা জুয়েলার্সে চুরি ঘটনা ঘটে।
অজ্ঞাতনামা চোর চক্র তার দোকানের ক্যাশ বক্সের তালা ভেঙে নগদ প্রায় ২৫ হাজার টাকা ও দোকানের ভিতরে থাকা সিন্দুকের তালা ভেঙে ২৪ ভরি ৯ আনা স্বর্ণ, যার আনুমানিক মূল্য ৫০ লাখ টাকা এবং ৩৫ ভরি রূপা, যার আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ৫ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।
এঘটনায় ব্যবসায়ী মন্টু কর্মকার ২২ অক্টোবর ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আরিফুর রহমান।
তিনি থানার ওসি মো. শাহ্ আলমের তত্ত্বাবধানে একটি চৌকস দল নিয়ে এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রথমে মূল আসামি পারভেজকে ২৯ অক্টোবর ভোর সাড়ে ৪টার দিকে খুলনা শহরের নিউ মার্কেট এলাকা থেকে গ্রেফতার করেন। তার দেওয়া তথ্য মতে থানার অন্য একটি টিম সদর উপজেলার এনায়েতনগর থেকে একই দিন ভোর সাড়ে ৫টার দিকে খলিলকে গ্রেফতার করেন।
পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ আব্দুর রকিব বলেন, পারভেজের দেওয়া তথ্যে তার নিজ ভাড়া বাসা হতে চুরি যাওয়া ৭ ভরি ১ আনা, ১ রথী স্বর্ণালংকারসহ দুটি মোবাইল ফোন এবং চোরাই কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
পারভেজ জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, চুরি করে নেয়া স্বর্ণালংকারের মধ্যে ১২ ভরি স্বর্ণালংকার বিভিন্ন জায়গায় ১৩ লাখ ১০ হাজার টাকা দামে বিক্রি করেছে এবং ওই টাকা হতে তার সহযোগী খলিল মৃধাকে ৫ লাখ টাকা দেয়। খলিলের কাছ থেকে পুলিশ ওই ৫ লাখ টাকা উদ্ধার করে। বাকি ৫ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, কামাল পারভেজ মিলন একজন আন্ত : জেলা চোর চক্রের মূল হোতা। সে তার সহযোগী অন্যান্য আসামিদের সহায়তায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় স্বর্ণালংকার দোকানে কৌশলে চুরি করে আসছে। তার বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতিসহ ৭টি মামলা এবং খলিল মৃধার বিরুদ্ধে দুইটি সিআর মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। তাদেরকে আজই চাঁদপুর আদালতে সোপর্দ করা হবে।
