অতীত পরিসংখ্যান কথা বলছে ভারতের দিকেই। ৪১ ওয়ানডেতে ভারতের ৩২ জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশ জিতেছে ৮টিতে, ফলাফল হয়নি এক ম্যাচে। শান্ত-মিরাজদের ৮ জয়ের ৬টি ঘরের মাটিতে এবং অন্যদুটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। ভারতের মাটিতে এখনো একদিনের ক্রিকেটে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা কোনো জয় পায়নি।
বড় মঞ্চে ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ও ভারতের সাক্ষাত হয়েছে পাঁচবার। এখানেও লড়াইয়ের ফল ভারতের পক্ষে। দুদলের পাঁচ দেখায় ওয়েস্ট ইন্ডিজে হওয়া ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে শুধু জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর ২০১১, ২০১৫, ২০১৯ ও ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে ভারতের সঙ্গে চার দেখার কোনটিতে টাইগাররা জয় পায়নি।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আগে ভারতের সাথে দুবারের দেখায় দুবারই হেরেছে বাংলাদেশ। সবশেষ আসরে ভারতের কাছে হেরেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমি থেকে বিদায় নিয়েছিল টিম টাইগার্স। তবে টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত পরিসংখ্যানের দিক না ভেবে কেবল মনোযোগ রেখেছেন মাঠের লড়াইয়ে।
ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ নিয়ে অবশ্যই উত্তেজনা থাকে। তবে, আমার মনে হয় ক্রিকেটাররা এটা নিয়ে খুব একটা চিন্তা করে না। ক্রিকেটাররা মাঠে তাদের পরিকল্পনা কীভাবে বাস্তবায়ন করবে সেটা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তাদের চিন্তা থাকে মাঠে কীভাবে বেশি শান্ত থাকা যায় সেটা নিয়ে।’
শান্ত আরও বলেন, ‘আমরা যদি এই ফরম্যাটে (ওয়ানডে) তাকাই, তাহলে আমাদের দল দারুণ ভারসাম্যপূর্ণ। আমাদের দল এই টুর্নামেন্টে যে কাউকে হারাতে পারে। আমরা প্রতিপক্ষ নিয়ে খুব বেশি ভাবছি না। আমরা যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারি, তাহলে যেকোনো দিন যেকোনো দলকে হারানো সম্ভব।’
এদিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মিশনে নামার আগে ফুরফুরে মেজাজে ভারত। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অভিযানে এসেছে রোহিত-কোহলিরা। ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা অনেক আত্মবিশ্বাসী। আত্মবিশ্বাসী থাকা উচিত। আমরা জানি, এখানে কী করতে এসেছি। অনেক কথা বলা সহজ। কিন্তু, আমাদের যা করার আগামীকাল মাঠেই করতে হবে।’