সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম নগরের দামপাড়া পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন উপ-কমিশনার (অপরাধ) রইছ উদ্দিন।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে ফেনী সদরের সুলতানপুর এলাকার একটি বাসা থেকে মিঠুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তা রইছ উদ্দিন বলেন, ‘গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায় মিঠুন।
এ ধরনের একটি ভিডিও আমরা ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি। ভিডিও দেখে আমরা তাকে শনাক্ত করি। এরপর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করি। সেখানে সে আত্মগোপনে ছিল।’
এই পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মিঠুন সাবেক কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনুর বিশ্বস্ত সহযোগী ছিল।
এলাকায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো বলে তাদের কাছে তথ্য আছে।
আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) আমরা আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে জানিয়ে রইছ উদ্দিন বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিঠুন আমাদের কাছে স্বীকার করেছে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে দমানোর জন্য সে অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করেছে। আন্দোলনে ব্যবহার করা অস্ত্র উদ্ধারের জন্য আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। সে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে। অতি শীঘ্রই অস্ত্রটি উদ্ধারের জন্য আমরা অভিযান পরিচালনা করব।’
অস্ত্রটি সম্পর্কে জানতে চাইলে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘সেটা একটি বিদেশি পিস্তল ছিল। পিস্তলটি তার নিজের নয় বলে সে আমাদের জানিয়েছে। অন্য আরেকজনের কাছ থেকে সে নিয়েছিল। পরে আবার ফেরত দিয়েছে। সেটা আমরা তদন্ত করতে দেখছি।’
মিঠুন ভারতে পালানোর কোনো চেষ্টা করেছিলেন কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আটক এড়ানোর জন্য সে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। সে বারবার তার অবস্থান পরিবর্তন করছিল। আমাদের পাঁচলাইশ থানার একটি আভিযানিক দল দীর্ঘদিন তাকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করে আসছিল। সর্বশেষ ফেনীর সুলতানপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
মিঠুনের বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা আছে কি না—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা আমরা পেয়েছি। যেহেতু সে এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল সুতরাং এখানে যে হত্যাকাণ্ডগুলো হয়েছে, ছাত্র-জনতার ওপর যে হামলা হয়েছে সেসব ঘটনায় যদি তার সম্পৃক্ততা থাকে সে মামলাগুলোয় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।’