বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে ফেনী শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিপ্লবী ছাত্রসমাজের ব্যানারে এ আয়োজন করা হয়। মিছিলটি ফেনী প্রেসক্লাব,খেজুর চত্বর, বড় মসজিদ প্রদক্ষিণ করে দোয়েল চত্বর এসে শেষ হয়।
এ সময় আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা ছাত্রদের নিরাপত্তা, সিরিয়াল কিলিং বন্ধ এবং বিচারের দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, সম্প্রতি জুলাই বিপ্লবের সক্রিয় যোদ্ধা এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া কয়েকজন ছাত্র-জনতা গুপ্ত হত্যার শিকার হয়েছে। এসব ঘটনা নিছক বিচ্ছিন্ন নয়। বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে খুনিদের শনাক্ত করে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি, জুলাই বিপ্লবে সক্রিয় ভূমিকা রাখা সহযোদ্ধাদের যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
এ সময় ‘সন্ত্রাসীরা ছাত্র মারে, প্রশাসন কি করে’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’, ‘ধিক ধিক ধিক্কার, মোদি তুই ধিক্কার’, ‘বাঁশের লাঠি তৈরি করো, বাংলাদেশ রক্ষা করো’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দিব রক্ত’, ‘জ্বালাও, জ্বালাও, আগুন জ্বালাও’, ‘আমার ভাই মরলো কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ – এমন নানা স্লোগান দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
বিপ্লবী ছাত্রসমাজ প্ল্যাটফর্মের সংগঠক নাঈম ফরায়জি বলেন, এসব হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত। ফ্যাসিস্টের দোসররা এখনও দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। এখন তারা সুকৌশলে আমাদের সহযোদ্ধাদের টার্গেট করেছে। কিন্তু ছাত্র সমাজকে এসব ষড়যন্ত্র করে আর দমিয়ে রাখা যাবে না। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে প্রস্তুত রয়েছি।
ফেনী জেলা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক আবদুল্লাহ আল জুবায়ের বলেন, পুলিশ প্রশাসন আগে আমাদের দমাতে গুলি করত, আর এখন তাদের নির্লিপ্ততার কারণে আমাদের ভাইদের হত্যা করা হচ্ছে।
এসব হত্যাকাণ্ডের দায় এ প্রশাসনকে নিতে হবে। শিগগিরই এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
বিপ্লবী ছাত্রসমাজ প্ল্যাটফর্মের সংগঠক নাঈম ফরায়জীর পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন প্রতিনিধি আবদুল কাইয়ুম সোহাগ, বিপ্লবী ছাত্রসমাজের প্রতিনিধি তাহমিদুল ইসলাম, নূর হোসেন, রফিকুল ইসলাম রাতুল, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ফেনী সদর উপজেলা প্রতিনিধি সালমান হোসেন, দাগনভূঞা উপজেলা প্রতিনিধি সাজ্জাদ হোসেন ফাহিম এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রতিনিধি বদরুদ্দজামান নোবেল।