ফারুক হোসেন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষের জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত টিসিবি পন্য বিতরণ কার্যক্রমে ধীর গতি, বিতরণ বুথ বৃদ্ধি ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বিতরণের দাবি উঠেছে।
সরকার প্রদত্ত টিসিবি কার্ডধারীগন প্রতি মাসের পন্য সংগ্রহ করতে গেলে বিতরন কেন্দ্রের সামনে তপ্ত রোদে ঘর্মাক্ত অবস্থায় সাড়িবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা । এতে সাধারণ নাগরিকদের শারিরীক ও মানসিক অবস্থার অবনতি এবং মূল্যবান সময় ক্ষেপণ হয়।
এ বিষয়ে সুবিধা ভোগী অর্থাৎ সেবা প্রার্থী ফাতেমা ও ষাটোর্দ্ধ বৃদ্ধা মাইমুনা বেগম বলেছেন, রোদে দাড়িয়ে থাকতে থাকতে আমাদের কোমরে প্রচন্ড ব্যথা হয় এবং সারা শরীর ঘেমে দুর্বল হয়ে পরি। স্বল্প সময়ে আমার বরাদ্দের তেল চিনি ডাল গুলো সরবরাহ করলে আমরা ভীষণ উপকৃত হবো।
বিষয়টি মানবিক দিক বিবেচনা করে বয়োবৃদ্ধ নারী-পুরুষ উভয়ের মূল্যবান সময়ের প্রতি গুরুত্বারোপে দ্রুত সময়ের মধ্যে টিসিবি পণ্য উত্তোলনের পরিবেশ সৃষ্টিতে একাধিক সংখ্যক বিতরণ বুথ চালু করণের দাবি করেন উপকার রোগীরা।
অপরদিকে, মাটিরাঙ্গা পৌরসভাস্ত ১ নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা জনৈক সুলতান আহমদ বলেছেন, আলুটিলা থেকে মাটিরাঙ্গা গিয়ে টিসিবি পণ্য সংগ্রহ করতে অতিরিক্ত ব্যয় হয় একশত টাকা। শত টাকা ব্যয় করে লাইনে দাঁড়ালেও কোন কোন দিন লম্বা সাড়ির কারণে টিসিবি পণ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না। উপায়ান্ত না পেয়ে টিসিবি পণ্য ছাড়াই বাড়ি ফেরত আসতে হয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় ওয়ার্ড পর্যায়ে টিসিবি পন্য বিতরন কার্যক্রম চালু করা গেলে অতিরিক্ত ব্যয় ও দুর্ভোগ বা হয়রানি ছাড়াই সাধারণ মানুষ তাদের বরাদ্দের টিসিবি পন্য উত্তোলন করতে সক্ষম হবেন।
বিতরন কার্যক্রম পরিচালনাকারীর পক্ষে ফারুক খান বলেছেন, মাত্র একটি মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার এর মাধ্যমে স্ক্যানিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে বিতরণ কার্যক্রম কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে বলে স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে কর্তব্যরত ট্যাগ অফিসার উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা জানান, আনসার ভিডিপির একজন সদস্য মৃত্যুবরণ করায় কিছুটা সময় তিনি বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেননি। সকালের দিকে বিতরণ কার্যক্রমে তিনি উপস্থিত ছিলেন।