রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) শাহবাগ থানা এলাকায় ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে সিটিজেন ফোরামের সাথে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান ।
রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ডিবি জনগণের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। আপনারা আমাদের মাদক, চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এমনকি ডিবির কোনো সদস্য যদি অপরাধ করে তথ্যও দিন; তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, আমি অপরাধ করলে আমারও বিচার হবে।
তিনি আরও বলেন, জনগণের সহযোগিতা নিয়ে সর্বোচ্চ পুলিশি সেবা প্রদান করতে ও দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চাই। পুলিশ ও জনগণ একসঙ্গে কাজ করলে আমরা একটি সুন্দর সমাজ গড়তে পারবো।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, জনগণের পুলিশে পরিণত হতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে। আমরা সেই পুলিশ হতে চাই, যে পুলিশ স্বাধীনতা যুদ্ধে অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েছিল। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এই বিপ্লবকে আমাদের মনে প্রাণে ধারণ করে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
রমনা বিভাগের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, জনগণের কাঙ্ক্ষিত সেবা ও জানমাল রক্ষায় যা করা দরকার তাই করতে হবে।
পুলিশ সম্পর্কে কোন বিরূপ ধারণা যেন সৃষ্টি না হয়, সেই দিকে দৃষ্টি রেখে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা যখন মসজিদে নামাজ পড়েন, মন্দিরে পূজা অর্চনা করেন, সেই সময় পুলিশ সদস্যরা আপনাদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকেন। আমাদের কোনো কর্ম ঘন্টা নেই। আমরা চাই বাংলাদেশ হবে সম্প্রীতির দেশ। সম্প্রীতির মাধ্যমে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সবাই একত্রে বসবাস করতে পারবে। আমাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। আমরা একে অপরের পরিপূরক। জনগণ পুলিশ একসাথে থাকতে চাই। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে চাই।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত শাহবাগ থানা এলাকার সম্মানিত নাগরিকবৃন্দ অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের কাছে তাদের বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন।
সভায় উপস্থিত তৌহিদুল ইসলাম বাবু বলেন, মতবিনিময় সভা আয়োজনের জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। আমরা চাই প্রশাসন ও জনগণ একসাথে কাজ করুক। এতে মাদক ও চাঁদাবাজি নির্মূল করা সহজ হবে। আমরা আপনাদেরকে সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছি।
মতবিনিময় সভায় ডিএমপির রমনা বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাবৃন্দ; বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ; শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা এবং ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।