সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার থেকে পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪৪ জন, ঢাকা বিভাগে ২০ জন, ময়মনসিংহে সাতজন, চট্টগ্রামে ২৫ জন, খুলনায় ছয়জন, রাজশাহীতে দুইজন, বরিশাল বিভাগে দুইজন এবং সিলেট বিভাগে একজন ভর্তি হয়েছেন।
অপরদিকে মারা যাওয়া একজন ময়মনসিংহ বিভাগের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১ হাজার ৫৭২ জন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ৬১৫ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৯৫৭ জন।
এ বছর মোট ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৫৯ হাজার ৩৭৬ জন ঢাকার বাইরের রোগী। ঢাকার দুই মহানগর এলাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৯ হাজার ৬০৮ জন।
ডিসেম্বরের প্রথম ১৬ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৭ হাজার ৫১৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, আর মৃত্যু হয়েছে ৬১ জনের।
এ বছর সবচেয়ে বেশি ৩০ হাজার ৮৭৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছে অক্টোবর মাসে। সে মাসে ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এক মাসে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে নভেম্বরে, ১৭৩ জন। নভেম্বরে ২৯ হাজার ৬৫২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়, তবে ২০২৩ সালে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ওঠে। জুন মাস থেকে শীতকাল পর্যন্ত ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
২০২৩ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল। সে বছর ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ১০ হাজার ৮০৮ জন এবং ঢাকার বাইরে ২ লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। ডেঙ্গু থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন।
গত বছর, ডেঙ্গুতে ১ হাজার ৭০৫ জন মারা গিয়েছিলেন, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা।
২০১৯ সালে দেশে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং প্রায় ৩০০ জন মারা যান।
২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা কম ছিল, তবে ২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯ জন আক্রান্ত হন এবং ১০৫ জন মারা যান।
২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৬২ হাজার ৩৮২ এবং মশাবাহিত রোগে ২৮১ জন মারা গিয়েছিলেন।
ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব এখনও দেশের জন্য একটি বড় স্বাস্থ্য সংকট। যদিও কিছুটা নিয়ন্ত্রণ এসেছে, তবে সকলেই সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।