বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার থেকে পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৫ জনের দুই জন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের, একজন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বাসিন্দা, একজন চট্টগ্রামের বাসিন্দা ও একজন রংপুরের বাসিন্দা।
এতে জানানো হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৪১, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫১ ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাহিরে) ৪৪, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৬৯, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৭০, খুলনা বিভাগে ৪১, রাজশাহী বিভাগে ১৯, ময়মনসিংহে ৭ ও রংপুরে ২ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৯৭ হাজার ৯৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যার মধ্যে ৬৩ দশমিক ১০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৯০ শতাংশ নারী। একই সময়ে ৫৪১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন, যাদের মধ্যে ৫১ দশমিক ৬০ শতাংশ নারী এবং ৪৮ দশমিক ৪০ শতাংশ পুরুষ।
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা যায়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গত বছর ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে ২ লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন চিকিৎসা নিয়েছিলেন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর মশাবাহিত এই রোগে ১ হাজার ৭০৫ জন মারা গিয়েছিলেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন, এবং সেই সময়ে চিকিৎসকসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে ডেঙ্গুর সংক্রমণ কম ছিল, তবে ২০২১ সালে সারাদেশে ২৮ হাজার ৪২৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন এবং ১০৫ জন মারা যান।
২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৬২ হাজার ৩৮২, এবং মশাবাহিত রোগে ২৮১ জন মারা গিয়েছিলেন।