রোববার গভীর রাতে হিজলা উপজেলার ধুলখোলা ইউনিয়নের মাঝেরচর আদর্শ গ্রামের এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকায় অভিযুক্ত পারভেজকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। এই ঘটনায় নিহতের বাবা সবুজ বাঘা সোমবার হিজলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় পারভেজকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন হিজলা থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ।
গ্রেফতার পারভেজ চৌকিদার (২৫) ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ইউসুফ চৌকিদারের ছেলে। অপরদিকে হত্যার শিকার সুরভী বেগম (২০) হিজলা উপজেলার ধুলখোলা ইউনিয়নের মাঝেরচর আদর্শগ্রামের বাসিন্দা সবুজ বাঘার মেয়ে।
নিহতের স্বজনরা জানান, দুই বছর আগে সুরভি ও পারভেজের বিয়ে হয়। সপ্তাহ দুই আগে তিনমাসের অন্তঃসত্ত্বা সুরভি স্বামী পারভেজকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন।
নিহতের মা শিউলি বেগম জানান, রোববার দিবাগত রাতে দুই জনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। সেই ঘটনার সূত্র ধরে রাতেই ওড়না দিয়ে সুরভীর গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পারভেজ। এরপর সুরভীকে কম্বল পেঁচিয়ে ফেলে রেখে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় পারভেজ। পরে তার নিথর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে। তখন সুরভীর স্বামী পারভেজকে না দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। এরপর খোঁজাখুঁজি করে পার্শ্ববর্তী মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া লঞ্চঘাট থেকে পারভেজকে আটক করা হয়।
নিহতের বাবা সবুজ বাঘা জানান, পারিবারিক কলজের জেরে রোববার রাতে তার মেয়েকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে জামাতা পারভেজ। ঘটনার পর সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে উলানিয়া এলাকা থেকে তাকে জনতা আটক করে। এ ঘটনায় পারভেজকে আসামি করে হিজলা থানায় হত্যা মামলা করেছেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, সুরভীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় নিজ স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী পারভেজকে গ্রেফতার করা হয়েছে।