শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে তাদেরকে আটক করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি আ. ক. ম আক্তারুজ্জামান বসু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বাসে দুই জন স্টাফ ছিল। আমরা জানতে পেরেছি মোহাম্মদ নুরুদ্দিন বাস চালাচ্ছিল। হাইওয়ে পুলিশ ও র্যাবের অভিযানে দুই জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের এখন পরিচয় ভেরিফিকেশন করা হচ্ছে। এরপর বিস্তারিত জানানো হবে।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে.ক মুনীম ফেরদৌস জানান, মোহাম্মদ নুরুদ্দিনকে শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি এ ঘটনার পর থেকে লুকিয়ে ছিলেন। অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। চালককে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় টোল পরিশোধের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারকে ধাক্কা দিয়ে দুমড়েমুচড়ে দেয় বেপারী পরিবহনের একটি বাস। এতে প্রাইভেটকারে থাকা একই পরিবারের চারজনসহ মোট ছয়জনের প্রাণহানি হয়। আহত হয়েছেন আরও চারজন।
নিহতরা হলেন- মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার নন্দনকোনা গ্রামের বাসিন্দা ও দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেটকারের মালিক নুর আলমের স্ত্রী আমেনা আক্তার (৪০), তার বড় মেয়ে ইসরাত জাহান (২৪), ছোট মেয়ে রিহা মনি (১১), ইসরাত জাহানের ছেলে আইয়াজ হোসেন (২), মোটরসাইকেলের চালক সুমন মিয়ার স্ত্রী রেশমা আক্তার (২৬) ও তার ছেলে মো. আবদুল্লাহ (৭)।
এ ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন প্রাইভেটকারের মালিক নুর আলম (৪২), তার বোন ফাহমিদা আক্তার (১৭), প্রাইভেট কারের চালক হাবিবুর রহমান (৩৮) ও মোটরসাইকেলের চালক সুমন মিয়া (৪২)।