অনলাইন ডেস্ক : নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ওয়ারিশের জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আবুল কালাম (৩৪) হত্যা মামলার আসামি এমদাদুল ইসলামকে আটক করা হয়েছেন।
বুধবার (২ জুলাই) রাতে র্যাব-১৪, ময়মনসিংহে একটি আভিযানিক দল নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
এর আগে, গত ১৭ মে গভীর রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবদুল কালাম মারা যান। ওই দিন রাত আটটার দিকে পৌরসভার আইথর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবুল কালাম আইথর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন। আর গ্রেফতার হওয়া এমদাদুল ব্রাহ্মণজাত গ্রামের আতিক মিয়ার ছেলে।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ব্রাহ্মণজাত গ্রামের আজিজুল হকের সঙ্গে তাঁর ফুফাতো ভাই আইথর গ্রামের হান্নান মিয়ার ওয়ারিসানার সূত্রেপ্রাপ্ত ২০ শতক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
গত ১৭ শনিবার সন্ধ্যায় আজিজুল আইথর গ্রামে হান্নান মিয়ার বাড়িতে যান।
এ সময় জমি নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক ও হাতাহাতি হয়। পরে স্থানীয় লোকজন ও আত্মীয়-স্বজনরা তাঁদের থামিয়ে দেন। কিন্তু আজিজুল ক্ষিপ্ত হয়ে হান্নানের ঘরের সঙ্গে তাঁর খালাতো ভাই আবুল কালামের গোয়ালঘরে গিয়ে সেখানে থাকা বেশ কয়েকটি গরু ছেড়ে দিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। পরে রাত আটটার দিকে তিনি আইথর গ্রামের সামনের সড়কে সেনবাড়ি মোড়ে অবস্থান করেন।
এ সময় আবুল কালামের সঙ্গে দেখা হলে ওই বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি একপর্যায়ে আজিজুল ও তাঁর লোকজন কালামের উপর হামলা করেন।
হামলায় আবুল কালামকে সর্বশেষ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২টার দিকে তিনি মারা যান। ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাজমহল আক্তার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
গতকাল র্যাব আসামি এমদাদুলকে আটক করে আজ বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশে হস্তান্তর করে।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, গ্রেফতার হওয়া এমদাদুলকে বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।