রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলার তেতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ১০০ শতাংশ।
তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে পঞ্চগড়ে পৌষ মাসের মাঝামাঝি থেকে কনকনে ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় আবৃত হয়ে পড়েছে চারদিক। সেখানে বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির। শীতার্তরা তীব্র কষ্টে দিন পার করছেন। দিনমজুর, চা ও পাথর শ্রমিক শ্রেণির মানুষেরা শীতের তীব্রতায় কাজও করতে পারছেন না। ফলে আয় কমেছে তাদের। এসব কারণে এ জেলার শীতার্ত ও ছিন্নমূল মানুষের রাত কাটে এখন অসহনীয় দুর্ভোগে। শীতের একেকটি রাত যেন তাদের কাছে দুঃস্বপ্ন।
অপরদিকে কয়েক দিন ধরে টানা ঠান্ডার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধারা। প্রায়ই সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাস আর ঘন কুয়াশায় কনকনে ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে এ জেলায়।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ১০০ শতাংশ। বিশেষ করে বায়ুমণ্ডলের উপরিভাগে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অত্যধিক হারে থাকায় দিনের বেলা সূর্যের দেখা মিলছে না বা সূর্যের আলোর কাঙ্ক্ষিত তাপ পাওয়া যাচ্ছে না। সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও কমার শঙ্কা রয়েছে।