আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় ‘এক সন্ত্রাসী হামলায়’ সাত পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। পাল্টা হামলায় এক আত্মঘাতী হামলাকারীসহ পাঁচ ‘সন্ত্রাসীকে’ হত্যা করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
দেশটির গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাতে একটি পুলিশ প্রশিক্ষণ স্কুলে এই মারাত্মক হামলা চালানো হয়। খবর জিও টিভির।
পুলিশ জানায়, ভারি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হামলাকারীরা আত্মঘাতী বোমা হামলার মাধ্যমে আক্রমণ শুরু করার পর হামলা চালায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটিতে।
এরপর দীর্ঘ সময় ধরে হামলাকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের এক ভয়াবহ বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। পরে তাদের পিছু হটাতে সক্ষম হয় নিরাপত্তা বাহিনী।
এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, নিরাপত্তা বাহিনী প্রাঙ্গণটি সুরক্ষিত করতে সহায়তা করার জন্য অতিরিক্ত ফোর্স পৌঁছানোর আগেই হামলাকারীদের প্রতিহত করে।
পুলিশ কর্মকর্তাল হাফিজ মুহাম্মদ আদনান বলেন, ‘পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী সফলভাবে প্রতিহত করেছে সন্ত্রাসীদের এবং হামলায় জড়িত সব সন্ত্রাসীকে নির্মূল করা হয়েছে।
সন্ত্রাসীরা রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে হামলা চালায়।
হামলাকারীদের নির্মূল করার অভিযান গভীর রাত পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।
হামলার পর ১৩ জন আহত কর্মীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পুলিশের জনসংযোগ মহাপরিচালক বলেন, হামলার সময় প্রশিক্ষণ স্কুলে উপস্থিত ২০০ জনেরও বেশি পুলিশ কর্মকর্তা এবং নিয়োগপ্রাপ্তদের নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এটিকে সন্ত্রাসীদের কাপুরুষোচিত কাজ বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি এক বিবৃতিতে নিহত সাত পুলিশ সদস্যের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তাদের সাহসিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেন।


