pressbd24
ঢাকাশুক্রবার , ১৫ নভেম্বর ২০২৪
  1. অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. খেলাধুলা
  8. চট্রগ্রাম প্রতিদিন
  9. জবস
  10. জাতীয়
  11. ট্যুরিজম
  12. ড. মুহাম্মদ ইউনূস
  13. তথ্য প্রযুক্তি
  14. দেশ ও জনপদ
  15. ধর্ম ও জীবন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বগুড়ায় ছেলে নয়, গৃহবধূ সালমাকে হত্যা করে ভাড়াটিয়া

অনলাইন ডেস্ক
নভেম্বর ১৫, ২০২৪ ৫:৩৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া নিজ বাড়িতে গৃহবধূ উম্মে সালমাকে হত্যার পর ডিপ ফ্রিজে রাখার ঘটনা নাটকীয় মোড় নিয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডে উম্মে সালমার ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমান জড়িত দাবি করে তাকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। তবে এ ঘটনায় পুলিশ নতুন করে এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার এবং কিছু আলামত উদ্ধারের পর চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য নাটকীয় ভাবে মোড় নিয়েছে।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বগুড়ার গোয়েন্দা পুলিশ ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া এক নারী ও দুই পুরুষকে গ্রেফতার করেছে।

আটককৃতরা হলেন- আজিজিয়া মঞ্জিল নামের ওই বাড়ির চতুর্থ তলার ভাড়াটিয়া মাবিয়া (৪২) ও তার দুই সহযোগী সুমন চন্দ্র (৩৫) এবং মোসলেম উদ্দিন (৪৫)।

আনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশ কিছু না বললেও সংস্থাটির এক কর্মকর্তা বলেছেন, উম্মে সালমার ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমান এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত নয়।

র‍্যাবের হাতে গ্রেফতারের পর সাদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়নি। যার কারণে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদে সাদ হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় নিহত উম্মে সালমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি মোসলেম উদ্দিনের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে মোসলেম উদ্দিনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ভ্যানচালক সুমন চন্দ্র ও ভাড়াটিয়া মাবিয়া খাতুনকে গ্রেফতার করা হয়।

জানা গেছে, গত রোববার দুপচাঁচিয়া পৌর শহরের জয়পুরপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে উম্মে সালমাকে হত্যার পর খুনিরা মরদেহ ডিপ ফ্রিজে রেখে যান। দুদিন পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উম্মে সালমার ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমানকে আটক করে র‍্যাব।

পরদিন প্রেস ব্রিফিং করে র‍্যাব জানায়, উম্মে সালমার ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমান স্বীকার করেছেন, তিনি নিজেই তার মাকে হত্যা করেছেন।

দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ জানায়, গ্রেফতারের পর মাবিয়া পুলিশকে জানান, চার মাস আগে উম্মে সালমার আজিজিয়া মঞ্জিলের চতুর্থ তলা ভাড়া নিয়ে তিনি একাই বসবাস করতেন। বাসায় মাদক বিক্রি এবং অনৈতিক কাজের অভিযোগ তুলে উম্মে সালমা ও তার স্বামী আজিজুর রহমান তাকে এক মাসের মধ্যে বাসা ছেড়ে দিতে বলেন। তার কাছে দুই মাসের ভাড়াও পাওনা ছিল।

বিষয়গুলো নিয়ে মাবিয়া বাড়ির গৃহকর্তি উম্মে সালমার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। তাই তিনি তার সহযোগী ও মাদক ব্যবসায়ী সুমন চন্দ্র সরকার এবং মোসলেমকে নিয়ে গত শনিবার উম্মে সালমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

পরিকল্পনা মাফিক রোববার সুমনের ভ্যানে মোসলেম ওই বাসায় আসেন। বেলা ১২টার দিকে মাবিয়া প্রথমে তিন তলায় প্রবেশ করেন। এর পরপরই সুমন ও মোসলেম বাসায় ঢুকেই চেতনানাশক স্প্রে করে উম্মে সালমাকে অচেতন করেন। এরপর তার নাক মুখ ও হাত বেঁধে বাসার ডিপ ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখে তারা তিনজন সেখান থেকে বেরিয়ে যায়।

থানা পুলিশ বলছে, আটকের পর মাবিয়া সুমন ও মোসলেম উম্মে সালমাকে হত্যার কথা স্বীকার করে ঘটনার পুরো বর্ণনা দিয়েছে। পরে তাদের দেখানো জায়গা থেকে পুলিশ আলামত হিসেবে প্রধান গেটের তালার চাবি, রাউটার ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।

বগুড়া জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, উম্মে সালমা হত্যার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কিছু আলামত উদ্ধারের পর তাদেরকে শুক্রবার বিকেলে আদালতে নেওয়া হয়েছে। আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার পর বিস্তারিত জানানো হবে।

এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত এখনও শেষ হয়নি বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।