তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির অনুমোদন সাপেক্ষে, প্রত্যেক কর্মকর্তার জন্য প্রযোজ্য তারিখ থেকে উচ্চতর পদে পদোন্নতির আদেশ জারি করা হবে।
এতে ১১৯ জনকে সচিব, ৪১ জনকে গ্রেড-১ (সচিবের সমান বেতন গ্রেড), ৫২৮ জনকে অতিরিক্ত সচিব, ৭২ জনকে যুগ্ম সচিব এবং ৪ জনকে উপ-সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হবে।
এসব পদোন্নতির জন্য সরকারকে ৪২ কোটি টাকা বেতনভাতা এবং ১৩ কোটি টাকা অবসরভাতা প্রদান করতে হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে শফিকুল আলম বলেন, প্রশাসনের কর্মকর্তাদের আন্দোলনের বিষয়ে আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। জন প্রশাসন ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ বিষয়টি দেখছেন এবং সরকার নিবিড়ভাবে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। তিনি বলেন, আমরা কোনো সরকারি চাকরিজীবীকে বঞ্চিত করতে চাই না, সবার প্রতি সুবিচার করতে চাই।
প্রেস সচিব বলেন, সংস্কার কমিশনের বিষয়গুলো স্বচ্ছতার সঙ্গে সবাইকে জানানো হচ্ছে। তবে এটি নিয়ে যেসব কথা হচ্ছে, তার মানে এই নয়, বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে।
গত চার মাসে আমাদের প্রশাসন যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে, অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়ে গেছে। আমি মনে করি, পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, মামলার যেসব পরিসংখ্যান ছাপা হচ্ছে, তার অধিকাংশই জুলাই-আগস্টে সংঘটিত হওয়া হত্যাকাণ্ডের মামলা। এ বিষয়ে সঠিক ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত।
একটি টেলিভিশনে চাকরিচ্যুতি সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে শফিকুল আলম বলেন, সরকার কাউকে চাকরিচ্যুত করতে বলেনি। সরকারের বাইরের কেউ চাকরিচ্যুতি করলে এর দায় সরকার নেবে না। তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের ওপর কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করে না।
দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির বিষয়ে প্রেস সচিব জানান, সরকার দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে একটি নতুন অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি করতে যাচ্ছে, যার ফলে বাংলাদেশের জন্য একটি বিকল্প বড় বাজার সৃষ্টি হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের রফতানি প্রধানত উত্তর আমেরিকা ও পশ্চিম ইউরোপে নির্ভরশীল। দক্ষিণ কোরিয়া বিকল্প বাজার হিসেবে অত্যন্ত সম্ভাবনাময়।
এছাড়া চীনের কিছু কোম্পানি বাংলাদেশের সৌর বিদ্যুতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী বলে তিনি জানান।