শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর পূর্বাচলের সী শেল রিসোর্টে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত এক ‘প্রীতি সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ডা. শফিকুর বলেন, “এবার ব্যর্থ হলে দেশের মানুষের আর যাওয়ার জায়গা থাকবে না। গোটা জাতিকে আমাদের ধারণ করতে হবে। আমাদের সব কাজে সৎ, পরিশ্রমী এবং প্রজ্ঞার পরিচয় দিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “যে যেখানে আছেন, সেখান থেকেই দ্বীন কায়েমের জন্য কাজ করতে হবে। জামায়াতের প্রতি মানুষের যে ভালোবাসা তৈরি হয়েছে, তা ধরে রাখতে হবে। কোনোভাবেই যেন এই ভালোবাসা নষ্ট না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।”
এদিন প্রীতি সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করীম, সিলেট মহানগরের আমির ফখরুল ইসলাম, গাজীপুর মহানগরীর আমির অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, ইয়াসিন আরাফাত ও সালাউদ্দিন আইয়ূবী এবং সাবেক কেন্দ্রীয় দাওয়াহ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম শাহিন।
প্রীতি সমাবেশের বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী উত্তর শাখার সাবেক সভাপতি আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। সঞ্চালনা করেন ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী উত্তরের সভাপতি আনিসুর রহমান ও সেক্রেটারি রেজাউল করিম শাকিল।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ডা. সাদেক বিল্লাহ এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের সাবেক সভাপতি, সেক্রেটারি ও শাখার দায়িত্ব পালনকারী সাবেক সদস্যবৃন্দ।
দিনব্যাপী আয়োজিত এই প্রীতি সমাবেশে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, স্মৃতি চারণা এবং শহীদি পরিবার ও আহত সদস্যদের বক্তব্য ছিল। আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে প্রায় ৭০০ ডেলিগেট অংশ নেন।
সমাবেশে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ দলীয় সদস্যদের সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
তারা বলেন, বর্তমান সময়ে ইসলামী আন্দোলনের প্রতি মানুষের আস্থা ধরে রাখাই মূল চ্যালেঞ্জ।