pressbd24
ঢাকাসোমবার , ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
  1. অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
  6. ইসলাম
  7. এক্সক্লুসিভ
  8. কৃষি ও পরিবেশ
  9. খেলাধুলা
  10. চট্রগ্রাম প্রতিদিন
  11. জবস
  12. জাতীয়
  13. ট্যুরিজম
  14. ড. মুহাম্মদ ইউনূস
  15. তথ্য প্রযুক্তি
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মাহমুদউল্লাহ-ফাহিম ঝড়ে বরিশালের দুর্দান্ত জয় : বিপিএল

অনলাইন ডেস্ক
ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪ ৬:৫৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

৫১ রানেই নেই নাজমুল হোসেন শান্ত, তামিম ইকবাল, কাইল মেয়ার্স, মুশফিকুর রহিমের উইকেট।
জয় দুর্বার রাজশাহীর দিকে। তবে সেখান থেকেই দলকে জয় এনে দিলেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পাশে ছিলেন পাকিস্তানি ফাহিম আশরাফ। এই দুই ব্যাটারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১১ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটের দুর্দান্ত জয় পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল। 

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে টস হেরে এনামুল হক বিজয় এবং ইয়াসির রাব্বির ব্যাটে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান সংগ্রহ করে রাজশাহী। বিজয় ৫১ বলে ৬৫ রান করেন। ৪৭ বলে ৯৪ রানে অপরাজিত থাকেন ইয়াসির।

১৯৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে বরিশাল। ১২ রানেই তারা হারিয়ে ফেলে দুই ওপেনার  শান্ত ও তামিমের উইকেট। শান্তকে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরিয়েছেন জিসান আলম।

ইনিংসের প্রথম বলে টসড আপ ডেলিভারিতে পা বাড়িয়ে খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন শান্ত। আর তামিম শিকার হয়েছেন তাসকিন আহমেদের। এই পেসারকে ফ্লিক করতে গিয়ে বলের লাইন মিস করে এলবিডব্লিউ হন তিনি। ফিরতি ওভারে তাসকিন ফিরিয়েছেন ৬ রান করা মেয়ার্সকেও। তিনি পুল করতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দেন রায়ান বার্লের হাতে।

ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন অভিজ্ঞ মুশফিকুরও। তিনি মুরাদের বলে সুইপ করতে গিয়ে এজ হয়ে ক্যাচ দেন ডিপ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে লাহিরু সামারাকুনের হাতে।

ভালো শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি আরেক ব্যাটার হৃদয়। তিনিও শিকার হন মুরাদের। লেংথ বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে শর্ট থার্ড ম্যানে সেই সামারাকুনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছিলেন শাহীন আফ্রিদি। তবে তাকে ইনিংস বড় করতে দেননি তাসকিন।

ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে উড়িয়ে মেরেছিলেন শাহীন। সীমানায় তার ক্যাচ নিয়েছেন তানভির ইসলাম। ফলে ১৭ বলে ২৭ রানে শেষ হয়েছে আফ্রিদির ইনিংসে। এরপর ক্রিজে আসা ফাহিমকে সঙ্গে নিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন এই মাহমুদউল্লাহ।

৫ ওভারে বরিশালের প্রয়োজন ছিল ৫৮ রান। মাহদুল্লাহ ও ফাহিমের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ১১ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটের জয় পায় বরিশাল। দুজনেই তুলে নেন ফিফটি। মাহমুদউল্লাহ ২৬ বলে ৫৬ ও ফাহিম ২১ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন।

ঝড়ো ব্যাটিং করেছেন ফাহিমও। তিনি অপরাজিত ছিলেন ৫৪ রান নিয়ে। ৭টি ছক্কায় ও একটি চারে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন তিনি। এই দুজনের ব্যাটে ১১ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় বরিশাল।

এর আগে এই ম্যাচে টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি দুর্বার রাজশাহীর। দ্বিতীয় ওভারেই আউট হয়েছেন দলটির ওপেনার জিসান আলম। তিনি কাইল মেয়ার্সের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন শূন্য রানে। এরপর ১৩ রান করা মোহাম্মদ হারিস আউট হয়েছেন মেয়ার্সের বলেই তাকে ক্যাচ দিয়ে। মেয়ার্স করেছিলেন স্লোয়ার বল সেই বল সোজা ব্যাটে খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন তিনি বোলারের। এরপর দলটির হাল ধরেন অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ও ইয়াসির আলী।

এই দুজনের জুটি ছাড়িয়ে যায় পঞ্চাশ। ফাহিমকে মিড অফ দিয়ে চার মেরে ৪২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন বিজয়। খানিক বাদে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ইয়াসিরও। অবশ্য বেশিদূর এগোতে পারেননি বিজয়। তিনি ফাহিমের লাফিয়ে ওঠা  বলে উইকেটের পেছনে মুশফিককে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি ব্যক্তিগত ৬৫ রানে। এর ফলে ইয়াসিরের সঙ্গে তার জুটি ভেঙেছে ১৪০ রানে। এরপর রায়ান বার্লকে নিয়ে রাজশাহীর রান বাড়াতে থাকেন ইয়াসির। অল্পের জন্য সেঞ্চুরির দেখা পাননি তিনি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৯৪ রানে। শেষ পর্যন্ত বার্ল অপরাজিত থাকেন ৮ রানে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

দুর্বার রাজশাহী- ১৯৭/৩ (২০ ওভার) (হারিস ১৩, বিজয় ৬৫, ইয়াসির ৯৪*; মেয়ার্স ২/১৩, ফাহিম ১/৪২)

ফরচুন বরিশাল- ২০০/৬ (১৮.১ ওভার) (শান্ত ০, তামিম ৭, হৃদয় ৩২, মেয়ার্স ৬, মুশফিক ৬, আফ্রিদি ২৭, মাহমুদউল্লাহ ৫৬*, ফাহিম ৫৪*) (মুরাদ ২/৪২, তাসকিন ৩/২১)

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।