স্টাফ রিপোর্টার : মিরসরাই প্রবাসী হারুন অর রশিদকে (৪৫) হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও নিহতের ভাগিনা শাহিন আলমকে (৩০) গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৭)।
শনিবার (৪ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নওগাঁ জেলার পত্নীতলা থানার মহেশপুর কদমকুড়ি এলাকায় র্যাব-৭ ও র্যাব-৫ এর যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রোববার (৫ অক্টোবর) দুপুরে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার সহকারী পুলিশ সুপার এ আর এম মোজাফফর হোসেন জানান, প্রবাসী হারুন হত্যা মামলার পর থেকেই শাহিন আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাহিনের অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান চালানো হয়।
পরবর্তীতে আটক আসামিকে মিরসরাই থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঘটনার পর নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে মিরসরাই থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, র্যাবের সহযোগিতায় হারুন হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহিন আলমকে আটক করা হয়েছে।
মামলার অন্যান্য পলাতক আসামিদেরও গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেফতার আসামিকে রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহত হারুনের জেঠাত ভাই মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, শাহিনের গ্রেফতারে এলাকায় স্বস্তি ফিরেছে। আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। বাকি আসামিদেরও আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
প্রসঙ্গত, নিহত হারুন অর রশীদ গত ৩০ এপ্রিল তিন মাসের ছুটিতে প্রবাস থেকে দেশে ফেরেন। দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক ও পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছিল তার পরিবারের মধ্যে।
গত ৯ জুলাই বিকেলে মিরসরাই সদর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড মধ্যম তালবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বোনের ঘরের পানি উঠানে পড়া নিয়ে ভাগিনা শাহিন আলমের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ভাগিনা শাহিন ও তার সহযোগীরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে হারুনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যান।
স্থানীয়রা আহত হারুনকে উদ্ধার করে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

