
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাতে আটক ৩ জনের স্বীকারোক্তিতে এমন তথ্য বেরিয়ে আসে বলে জানান অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম রবিউল ইসলাম।
আটকরা হলেন ; উপজেলার চলিশিয়া গ্রামের তৈয়ব আলী শেখের ছেলে ইসরাফিল হোসেন (৩১), বুইকারা গ্রামের মৃত করিম হাওলাদারের ছেলে মুজিবর রহমান হাওলাদার (৬০) ও রাজঘাট এলাকার মৃত তরিকুল শেখের ছেলে হাসান শেখ (২৫)।
পুলিশ জানায়, প্রায় ৩ মাস আগে মেসার্স বিশ্বাস ট্রেডিংয়ের মালিক জিয়াউর রহমান বিশ্বাসের কাছে নিষিদ্ধ চরমপন্থি দলের নেতা সজল আহম্মেদ পরিচয়ে মোবাইল ফোনে একটি কল আসে।
এসময় জিয়াউরের কাছে সংগঠনের জন্য ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন সজল আহম্মেদ। দাবি করা টাকা না পাওয়ায় আটক ইসরাফিল হোসেনকে এক হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে বোমা তৈরির নির্দেশ দেন চরমপন্থি নেতা সজল।
বুধবার (১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে ইসরাফিল তার দুই সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে পৃথক মোটরসাইকেলে নওয়াপাড়া রেলস্টেশন বাজারে বিশ্বাস ট্রেডিংয়ে ২টি বোমা নিক্ষেপ করে, যার একটি বিস্ফোরিত হয়। এরপর তারা মেসার্স তরফদার ট্রেডিংয়ের সামনে একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম রবিউল ইসলাম বলেন, ‘মামলা দায়েরের পর মাত্র ৫ ঘণ্টায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বোমা হামলা ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার দিন ব্যবহৃত ২টি মোটরসাইকেলের মধ্যে একটি জব্দ করা হয়েছে। চরমপন্থি নেতা সজল আহম্মেদকে আটক এবং অপর মোটরসাইকেলটি উদ্ধারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদের যশোর আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
এর আগে গত বুধবার (১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার নওয়াপাড়া রেলস্টেশন বাজারে মেসার্স বিশ্বাস ট্রেডিং ও মেসার্স তরফদার ট্রেডিং নামের ২ ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে একই সময় বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মেসার্স বিশ্বাস ট্রেডিংয়ের ২জন কর্মচারী আহত হয়। পরদিন আহত মোস্তাফিজুর রহমান বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
