শুক্রবার (৭ মার্চ) দুপুর ১২টায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার নুর ই আলম সিদ্দিকী প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পুলিশ জানায়, এই ঘটনা জানতে পেরে পুলিশের তিনটি টিম গঠন করা হয় সাদ্দামকে আটকের জন্যে। রাত ১২টার দিকে যশোর শহরের পালবাড়ি এলাকা থেকে পুলিশের একটি টিমের সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন।
ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার নুর ই আলম সিদ্দিকী বলেন,আটক আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে ভিকটিম শহিদুল ইসলাম, আসামি মো. সাদ্দামের আপন খালু।
আসামি দীর্ঘ দিন ধরে সন্দেহ করতে থাকে যে তার প্রথম স্ত্রী প্রিয়া খাতুনের সঙ্গে তার খালু ভিকটিম শহিদুল ইসলামের শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে এবং তার খালু তাকে মাঝে মাঝেই বলে যে তার ওপর জিনের প্রভাব রয়েছে। আর সেই জিনের মাধ্যমে ভর করে ভিকটিম শহিদুল ইসলাম আসামি মো. সাদ্দামের স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে।
এই সমস্ত কথাবার্তা শোনার পর আসামি মো. সাদ্দাম রাগান্বিত হন। এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নেন – খালু শহিদুল ইসলাম যে চোখ দিয়ে তার স্ত্রী প্রিয়া খাতুনের দিকে খারাপ দৃষ্টিতে তাকিয়েছে সেই চোখ উঠিয়ে ফেলার।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে যশোর শহরের বকচর সাকিনস্থ করিম পাম্পের সামনে জনৈক আল আমিনের মুদি দোকানের সামনে ভিকটিম শহিদুল ইসলামকে দেখতে পেয়ে সাদ্দাম তার কাছে যায়। এরপর কথাবার্তা বলাসহ দু’জনে মিলে পায়চারি করতে থাকে। একপর্যায়ে আসামি মো. সাদ্দাম ভিকটিমকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় এবং শহিদুল ইসলামের বুকের ওপর উঠে বসে তার দুই চোখ উপড়ে দেয়। ভিকটিম শহিদুল ইসলাম তখন চিৎকার-চেঁচামেচি করলে লোকজন এগিয়ে আসে। ওই সময় আসামি মো. সাদ্দাম ঘটনাস্থল হতে দ্রুত পালিয়ে যায়।