শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে র্যাব-৫, রাজশাহীর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে জানান।
গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- মামলার এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি কালু মিয়ার ছেলে মো. নান্টু (২৮) ও মৃত আ. সাত্তারের ছেলে মো. খোকন মিয়া (২৮)। তাদের উভয়ের বাড়ি রাজশাহী নগরীর তালাইমারি শহীদ মিনার এলাকায়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী, ধর্ষকসহ বিভিন্ন অপরাধীকে গ্রেফতারে র্যাব নিরলসভাবে কাজ করছে।’
তিনি আরও জানান, ‘তালাইমারিতে আকরাম হোসেন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের বোয়ালিয়া মডেল থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’
এর আগে, এক এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রাইভেট পড়া শেষে তালাইমারি শহীদ মিনার এলাকায় অটোরিকশা থেকে নেমে বাসায় যাওয়ার সময় নান্টু ও তার সহযোগীরা তাকে গালিগালাজ ও উত্ত্যক্ত করে। মেয়েটি বাসায় গিয়ে ঘটনাটি তার বাবাকে জানায়। পরে আকরাম হোসেন নান্টুর বাবাকে বিষয়টি জানান।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নান্টু ও তার সহযোগীরা-প্রায় ৯–১০ জন মিলিত হয়ে আকরাম হোসেনের ওপর হামলা চালায়।
একপর্যায়ে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত আকরাম হোসেনের ছেলে অনন্ত বাদী হয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩-৪ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার নম্বর: ১৫/৮৬, তারিখ: ১৭/০৪/২০২৫, ধারা: ৩০২/৩৪, দণ্ডবিধি ১৮৬০।
মামলার আসামিরা হলেন :
১। মো. নান্টু (২৮), পিতা–মো. কালু মিয়া
২। মো. বিশাল (২৮), পিতা–মৃত রতন মিয়া
৩। মো. খোকন মিয়া (২৮), পিতা–মৃত আ. সাত্তার
৪। মো. তাসিন হোসেন (২৫), পিতা–মো. শাহিন
৫। মো. অমি (২৫), পিতা–অজ্ঞাত
৬। মো. নাহিদ, পিতা–জামাল
৭। মো. শিশির (২০), পিতা–মো. পিরু
উল্লেখ্য, সবার স্থায়ী ঠিকানা: তালাইমারি শহীদ মিনার, থানা : বোয়ালিয়া, রাজশাহী মহানগর।