রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শেরপুর সদর থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম।
এর আগে, রোববার ভোরে রাজধানী ঢাকার তুরাগ থানার রাজউক উত্তরা থেকে তাদের আটক করে শেরপুর সদর থানা পুলিশ।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- শেরপুরের বাবর অ্যান্ড কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা মৃত আবুল হাসেমের ছেলে, শেরপুর জেলা শহরের নারায়ণপুর মহল্লার বাসিন্দা কামরুজ্জামান সুজন ও কামরুল হাসান। তাদের মধ্যে অর্থ আত্মসাৎ ৭০টি মামলার সাজাপ্রাপ্ত ও পরোয়ানাভুক্ত ১৮টি মামলাসহ ৮৮টি মামলার আসামি কামরুজ্জামান সুজন এবং ৪টি মামলার পরোয়ানা ভুক্ত কামরুল হাসান।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশের একটি টিম রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকার তুরাগ থানার রাজউক উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প সেক্টর-১৮, ব্লক-এ এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় সিআর সাজাপ্রাপ্ত ৭০টি ও সিআর সাধারণ ১৮টি মামলাসহ ৮৮টি পরোয়ানা ভুক্ত আসামি কামরুজ্জামান সুজন এবং সিআর সাধারণ ৪টি মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি কামরুল হাসানকে আটক করে।
জেলা পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগী যারা রয়েছে প্রায় ৭০০ লোক তাদের প্রতিনিধি আমার সঙ্গে দেখা করে এবং ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত বলে। মূলত ইটের ভাটায় বিনিয়োগের জন্য ৭০০ লোকের কাছ থেকে প্রায় ১০০ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় সুজন ও কামরুল। এই বিনিয়োগে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ছিলেন। এরপর আমি আমলে নিয়ে কাজ শুরু করি। দীর্ঘ পাঁচ মাস পর তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের শনাক্ত করি এবং আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।