রাজধানীর পল্লবীতে ভুয়া আইডি কার্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যবহার করে সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ১৫ লাখ টাকার চুক্তিতে অবৈধভাবে ফ্ল্যাট দখলের অভিযোগে ১৩ জন পেশাদার প্রতারককে আটক করেছে পল্লবী থানা পুলিশ।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১টা থেকে রাত ২টার মধ্যে পল্লবী থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন : সামসুল ইসলাম শাওন (৩২), সাইমন ইসলাম ওরফে ইমন (২৩), সাইফুল ইসলাম (২০), নূর মোহাম্মদ শামীম (২০), শেখ মহি উদ্দিন (৬৪), মো. আরিফুজ্জামান (২৭), মো. জিহাদ (৩২), সোহান আকন্দ (২২), আসিফ হোসেন তারেক (২০), মিন্টু মুন্সি (২৮), রিফাতুল ইসলাম (২১) ও অপর দুজন অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু।
আটকের সময় তাদের হেফাজত থেকে দুটি ওয়াকি-টকি, বিমান বাহিনীর লোগো সম্বলিত একটি ক্যাপ, সেনাবাহিনীর চারটি ভুয়া আইডি কার্ড ও প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ১৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, বুধবার রাত ১০ টায় কয়েকজন নুরুন্নাহার লাকীর পক্ষ হয়ে পল্লবী থানার সেকশন-১১, ব্লক-এ, রোড-৭ এর ৪৪ নম্বর বাড়ির ৩য় তলার একটি ফ্ল্যাট দখল করতে যায়। খবর ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয় জনগণের বাধার সম্মুখীন হন। এরপর রাত ১১টার দিকে সামসুল ইসলাম শাওন, সাইমন ইসলাম ওরফে ইমন, সাইফুল ইসলাম ও নূর মোহাম্মদ শামীম পল্লবী থানার ওসির রুমে গিয়ে নিজেদের সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে ফ্ল্যাটটি দখলে পুলিশি সহায়তা চান। তাদের কথাবার্তা ও আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাদের দেহ তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে তাদের কাছ থেকে দুটি ওয়াকি-টকি, একটি ক্যাপ, সেনাবাহিনীর চারটি ভুয়া আইডি কার্ড পাওয়া যায়। পরে বিভিন্নভাবে তাদের পরিচয় যাচাই করে ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আটকদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত দেড়টার দিকে পল্লবী থানার সাগুফতা রোড ও কিংস্টন গলিতে অভিযানা পরিচালনা করে ফ্ল্যাট দখলের কাজে তাদের সহযোগী অন্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। আরও ৭-৮ জন পালিয়ে যান।
থানা সূত্রে আরও জানা যায়,আটক হওয়া ব্যক্তিরা পেশাদার প্রতারক। তারা তাদের পলাতক সহযোগীদের সহায়তায় নিজেদের সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে ১৫ লাখ টাকার চুক্তিতে পল্লবীতে ফ্ল্যাট দখল করে দেওয়ার চেষ্টা করছিল বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।