শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম।
এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার সময় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম আমতলী পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের চান্দু গাজীর ছেলে। সে কুলাইরচর গ্রামের রফিক হাওলাদারের মেয়েকে বিয়ে (অভিযুক্তের চতুর্থ বিয়ে) করে সেখানে ঘরজামাই থাকেন।
ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষিত মেয়েটির বাবা-মা আমতলী উপজেলার কুকুযা ইউনিয়নের রায়বালা গ্রামের বিবিসি নামের একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করেন। মেয়েটি হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের নানাবাড়ি থেকে পড়াশোনা করে। সে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার সকালে সে বাবা-মা এবং অসুস্থ ছোট ভাইকে দেখার জন্য ইটভাটায় আসে।
সারাদিন তাদের সঙ্গে কাটানোর পর রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার সময় মেয়েটিকে প্রতিবেশী নুরুল ইসলামের (৪০) মোটরসাইকেলে তুলে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় সড়কের এক নির্জন স্থানে নামিয়ে চালক নুরুল ইসলাম মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় মেয়েটি তার সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে এবং বাধা দেয়। একপর্যায়ে নুরুল ইসলাম মেয়েটির মুখে তার গায়ের ওড়না ঢুকিয়ে দেয় এবং হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করে বাড়ির দরজার সামনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের খবর পেয়ে মেয়েটিকে হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।