pressbd24
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৯ জুন ২০২৫
  1. অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
  6. ইসলাম
  7. এক্সক্লুসিভ
  8. কৃষি ও পরিবেশ
  9. খেলাধুলা
  10. চট্রগ্রাম প্রতিদিন
  11. জবস
  12. জাতীয়
  13. ট্যুরিজম
  14. ড. মুহাম্মদ ইউনূস
  15. তথ্য প্রযুক্তি
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হাতকড়া লাগানো অবস্থায়,আদালত থেকে পালাল স্কুলছাত্র জিসান হত্যার আসামি

অনলাইন ডেস্ক
জুন ১৯, ২০২৫ ৫:১৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

হাতকড়া লাগানো অবস্থায় আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্কুলছাত্র হত্যা মামলার আসামি শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তার হাতে থাকা হাতকড়া ধাতব কিছু দিয়ে লুজ করে কৌশলে খুলে ফেলে। পরে পুলিশ কনস্টেবলের হাতে আঘাত করে পালিয়ে যায় এই আসামি।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়েছে এই আসামি।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে তিনি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানা থেকে পালিয়ে যান বলে হাজতখানার এসআই মো. রিপন মোল্লা জানিয়েছেন।

ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালতে এদিন এই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ছিল।

এদিন দুই আসামি শরীফুল ইসলাম এবং শাহিন মণ্ডলকে কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

পরে তাদের এজলাসে তোলা হয়। সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হন যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জাকির হোসেন টিপু। তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের আদালতের দ্বিতীয় তলা থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়ার পথে নিচ তলা থেকে পালিয়ে যান শরিফুল ইসলাম।

আদালতের সিসি ক্যামেরা ভিডিওতে দেখা গেছে, দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য চার আসামিকে সঙ্গে নিয়ে হাজতখানার দিকে যাচ্ছিলেন।

শরিফুল ইসলাম ছিলেন সবার সামনে। তাদের পেছন থেকে দড়ি ধরে হাঁটছিলেন ওই কনস্টেবল।

এভাবে আদালত ভবনের নিচে সিঁড়ির কাছে পৌঁছালে শরিফুল কোনোভাবে হাতকড়া খুলে দৌড় দেন। পরে তিনি পাশের একটা আদালতে যান। সেখানে গিয়ে গায়ের সাদা শার্ট খুলে হাতে নেন। লাল টি-শার্ট পড়া অবস্থায় আদালত প্রাঙ্গণ থেকে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান।

হাজতখানার এসআই রিপন মোল্লা বলেন, আসামিকে আদালত থেকে হাজতখানায় নিয়ে আসার পথে কনস্টেবল শহিদুল্লাহকে আঘাত করে সে পালিয়ে যায়।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৯ জানুয়ারি দুপুরে খিলগাঁও থানাধীন সিপাহীবাগে এক আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াতে গিয়েছিল জিসান হোসেন।

এরপর আর বাসায় ফেরেনি সে। পরিবার খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পায়নি। পরদিন ভোর রাত ৪টার দিকে জিসানের মোবাইল থেকে তার বাবা মোফাজ্জল হোসেনের মোবাইলে বার্তা আসে, তার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে।

৩০ মিনিট পর ফোন করে ১৫ লাখ টাকা দাবি করা হয় জিসানের মুক্তির জন্য।

এ ঘটনায় মোফাজ্জল হোসেন খিলগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ২৩ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে খবর পান, জিসানের বয়সী একটা ছেলের লাশ ঢাকা মেডিকেলে পড়ে আছে। সেখানে গিয়ে তিনি ছেলের লাশ শনাক্ত করেন। জানতে পারেন, বাড্ডা থানা পুলিশ আফতাব নগরের আলমগীরের মাছের খামারের মধ্যে জিসানের দেহ চারটি ইট, মাফলার দিয়ে কোমরের সাথে বাঁধা অবস্থায় পায়।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।