শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে জেলার সদর থানাধীন মাগুরমারী বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ৭৪২/৯-এস হতে আনুমানিক ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মুহুরীজোত সীমান্ত এলাকা থেকে নীলফামারী ব্যাটালিয়ন ৫৬ বিজিবির সদস্যরা তাদের আটক করেন।
আটককৃতরা হলেন- ঠাকুরগাঁওয়ের সদর থানার আলমপুর গ্রামের মৃত নীলমোহন রায়ের ছেলে শ্রী নিতাই চন্দ্র রায় (৩৫), তার মেয়ে শ্রী ভূমি রানী শ্রেয়া (৭) ও দালাল মো. সাদ্দাম (৩০) তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের শিবচন্ডী গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে।
বিজিবি জানায়, সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের আইনের আওতায় আনার লক্ষে নিয়মিত অভিযানের ধারাবাহিকতায় পঞ্চগড়ের জেলার সদর থানাধীন মাগুরমারী বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ৭৪২/৯-এস হতে আনুমানিক ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মুহুরীজোত নামকস্থান দিয়ে সন্ধ্যা রাতে বাংলাদেশি নাগরিক অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করতে যাচ্ছিলেন। খবর পেয়ে দ্রুত মাগুরমারী বিওপির সদস্যরা অভিযান চালিয়ে একজন দালাল চক্রের সদস্যসহ ৩ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে।
তবে এদের মধ্যে একজন শিশু থাকায় তাকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পঞ্চগড় সদর থানা কর্তৃক নিকট আত্মীয়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
গ্রেপ্ততারকৃত দালালকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, বাংলাদেশ হতে ভারতে অনুপ্রবেশের জন্য তাদের নিকট থেকে সর্বমোট ৩০ হাজার টাকা চুক্তি করা হয়। সে আরও জানায় তার সঙ্গে আরও ৮ জন দালাল চক্রের সদস্য ছিল। তারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া ওই দালাল চক্রের ৮ সদস্যকে বিজিবি গ্রেপ্তারের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এ ঘটনায় আটকের সময় পাওয়া কাঁটাতারের বেড়া কাটার একটি প্লাস, দুইটি ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন, এক জোড়া রুপার নুপুর ও বাংলাদেশি নগদ ২০ হাজার ১৬০ টাকা। এসবসহ দুজনকে পঞ্চগড় সদর থানায় সোপর্দ করা হয়।
বিজিবি আরও জানায়, সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান প্রতিরোধকল্পে বিজিবির অভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
সীমান্ত এলাকা দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে বিজিবি শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
যেকোনো মূল্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে ৫৬ বিজিবি কঠোর নজরদারি নিশ্চিতে সদা প্রস্তুত।