তিনি বলেন, ‘ঢাকার মূল সড়কে কোনো রিকশা চলাচল করতে পারবে না। রিকশা চলাচল করবে অভ্যন্তরের সড়কে।’
মঙ্গলবার (১৩ মে) রাজধানীর আসাদগেট এলাকায় ব্যাটারিচালিত অবৈধ রিকিশার বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও ডিএনসিসির যৌথ অভিযান পরিচালনাকালে ডিএনসিসির প্রশাসক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০ শতাংশ দুর্ঘটনা এই ব্যাটারি চালিত রিকশার কারণে হচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে শহরের নারী ও শিশুরা। এগুলো কোনো নীতিমালা বা যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয় নাই। প্রায়ই দেখা যায় পথচারীদের উপর উঠে যাচ্ছে। অনিয়ন্ত্রিত গতির কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।’
ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ‘দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ও সড়কে গণপরিবহন চলাচলে শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। বুয়েটের সহায়তায় ইতোমধ্যে ব্যাটারিচালিত নিরাপদ রিকশার নকশা প্রস্তুত করে কয়েকটি কোম্পানিকে প্রস্তুতের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এ মাসের মধ্যে ডিএনসিসি রিকশাচালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে। প্রশিক্ষণ শেষে উত্তীর্ণরাই বৈধ লাইসেন্স পাবে এবং অনুমোদিত কোম্পানির তৈরি রিকশা শহরের নির্দিষ্ট এলাকায় চালাতে পারবে। এক এলাকার বৈধ রিকশাও অন্য এলাকায় যেতে পারবে না। যাত্রী ভোগান্তি কমাতে ভাড়াও নির্ধারিত থাকবে।’
ডিএনসিসি প্রশাসক আরও বলেন, ‘একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য একটা রিকশার লাইসেন্স দেওয়া হবে। চলমান রিকশা নিয়ে যে বাণিজ্য রয়েছে, তা বন্ধ করা হবে।’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের যৌথভাবে পরিচালিত আজকের অভিযানে মূল সড়কে চলাচলরত আনুমানিক ১০০টিরও বেশি ব্যাটারিচালিত রিকশা জব্দ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন :
ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আ ন ম বদরুদ্দোজা, ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহবুব আলম, ডিএমপির কর্মকর্তাবৃন্দ ও ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর কর্মকর্তাবৃন্দ।