মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলাম তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তবে জামিন নামঞ্জুরের পর তাকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হলেও কয়েকশ ইসকন সমর্থক ঘিরে রেখেছেন প্রিজন ভ্যানটি। তারা প্রিজন ভ্যান ঘিরে নানা ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।
এর আগে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
এর আগে, গত ৩১ অক্টোবর বিএনপি নেতা ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, ৫ আগস্ট বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটানোর পর নিউমার্কেট মোড়ের জিরো পয়েন্টে একটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে, যা এখনও সেখানে রয়েছে। ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে চট্টগ্রামের লালদীঘির মাঠে একটি বড় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো মানুষ যোগ দেন। ওইদিনই চন্দন কুমার ধরসহ ৯ জনের ইন্ধনে বাকি আসামিরা নিউমার্কেট মোড়ের স্তম্ভে এবং আশপাশে ইসকনের গেরুয়া পতাকা স্থাপন করে, যা নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
এই মামলার পর, ইসকন প্রবর্তক ধাম অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের একটি বিবৃতি প্রকাশিত হয়। সেখানে তিনি মামলাটিকে সনাতনীদের আট দফা দাবি আদায়ের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা বলে উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘৫ আগস্টের পর সনাতনীদের ওপর হামলা-নির্যাতনের প্রতিবাদে আমাদের আন্দোলন। এটি সরকারের বা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নয়।’