মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের ভীমগঞ্জ এলাকার একটি মাদরাসার সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত দুজন হলেন সোহাগ আলম ও রুহুল আমিন।

শেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু রায়হান রূপন এবং নিহতের স্বজন ও ছাত্রদলের কর্মী রমজান আলী এই তথ্য জানিয়েছেন।

নিহত জাকারিয়া বাদলের স্বজন রমজান আলী বলেন, কামারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফর রহমানের সঙ্গে বাদলের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। সম্প্রতি জেলা বিএনপির বিবাদমান দুটি পক্ষ স্থানীয় ওই দুই নেতার সম্পর্ককে আরও জটিল করে তোলে। তাছাড়া হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও কৃষক লীগ নেতা নুরে আলমের সঙ্গেও তার রাজনৈতিক বৈরিতা রয়েছে। বাদলকে দমন করতে সম্প্রতি শেরপুর জেলা কারাগারে থাকা সাবেক চেয়ারম্যান নূরে আলমের সঙ্গে দেখা করেন লুৎফর। ওই দুজন এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ ইউপি নির্বাচন নিয়ে আগাম পরিকল্পনা করেন।

রমজান আলী আরও বলেন, বিএনপি নেতা লুৎফর এলাকায় কৃষক লীগ নেতা নূরে আলমের লোকজনের সঙ্গে গোপন বৈঠক করে প্রতিপক্ষ বাদলকে দমানোর পরিকল্পনা করেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জাকারিয়া বাদলসহ তিনজন একটি মোটরসাইকেলে ভীমগঞ্জ বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ওঁৎ পেতে থাকা নুরে আলম ও লুৎফরের অনুসারীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। এসময় দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাদের গুরুতর জখম করা হয়। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে শেরপুর ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে বাদল ও সোহাগকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা নেওয়ার পথে বাদলের মৃত্যু হয়।

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাবেক এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফর রহমানের সঙ্গে বিএনপি নেতা জাকারিয়া বাদলের বিরোধ চলছিল। এরই জেরে কৃষক লীগ নেতা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম চেয়ারম্যানের লোকজন লুৎফরের লোকজনের সঙ্গে মিলে বাদলের ওপর হামলা করেছে বলে জানতে পেরেছি।