স্টাফ রিপোর্টার : চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের চার সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, ধারালো অস্ত্র, ডাকাতির নগদ অর্থ এবং ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি সিঙ্গেল কেবিন পিকআপসহ বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি রেঞ্জ বন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে এ অভিযান চালায় লোহাগাড়া থানা পুলিশ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আরিফুর রহমানের নেতৃত্বে এসআই কামাল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করেন।
পুলিশ জানায়, চেকপোস্টে তল্লাশির সময় সন্দেহভাজন একটি গাড়ি থামানো হলে ডাকাতদলের সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করে। পরে ধাওয়া দিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন : চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পশ্চিম খাতুরিয়া গ্রামের নুরুল আলমের ছেলে আবুল কাশেম ওরফে জামাই কাশেম (৫২), কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার ফুলতলা গ্রামের মৃত জেবল হোসেনের ছেলে ছাদেকুর রহমান (৩১), চকরিয়া বাজারপাড়া গ্রামের মো. মাসুকের ছেলে মো. কামাল (৩৫) এবং পূর্ব বড় ভেওলা সিকদারপাড়ার মৃত আলমগীরের ছেলে কেফায়েত হোসেন (২৪)।
তল্লাশিতে আটক ডাকাতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে- ২টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ৪ রাউন্ড ১২ বোর কার্তুজ, ১টি রামদা, ১টি স্প্রিং চাকু ও ২টি ধারালো চাকু, ১টি লোহার কাঁচি, ২টি শাবল, ৪টি মোবাইল ফোনসেট ও ১টি পোর্টেবল হার্ডডিস্ক নগদ ১৬ হাজার টাকা ও ৮২৪ টাকার খুচরা কয়েন এবং ডাকাতিতে ব্যবহৃত সিঙ্গেল কেবিন পিকআপ (চট্ট মেট্রো-১১-৮৮৫৩)।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা চট্টগ্রামের পটিয়া থানার ফকিরপাড়া এলাকায় সংঘটিত একটি ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তারা সেখানে ডাকাতি করে লুণ্ঠিত অর্থ ও মালামাল কক্সবাজারের চকরিয়ায় নিয়ে যাচ্ছিল।
গ্রেপ্তার আসামি আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতি, হত্যাচেষ্টা ও নারী-শিশু নির্যাতনসহ অন্তত ১১টি মামলা রয়েছে। অপর তিন আসামির বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে।
শুক্রবার (২০ জুন) লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুর রহমান বলেন, ‘গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের ১৯(এ) ও ১৯(এফ) ধারায় মামলা দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত পলাতক আরও সাত ডাকাতকে আটকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’