
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন : সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আলাউদ্দিন মনি, সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন বাবর, সীতাকুণ্ড পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মামুন এবং সোনাইছড়ী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মমিন উদ্দিন মিন্টু।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তারা বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ জনস্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। এ কারণে তাঁদের দলীয় প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সোমবার সন্ধ্যায় বিএনপি আসনভিত্তিক সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করে।
এতে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে বাদ দিয়ে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের নাম।
মনোনয়ন থেকে বাদ পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে আসলাম চৌধুরীর কর্মী–সমর্থকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে তারা সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী শহীদ মিনার এলাকায় ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে ‘দুর্দিনের আসলাম ভাই, আমরা তোমায় ভুলি নাই’, ‘আসলাম ভাইয়ের ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’—এমন স্লোগান দেন। পরে কদমরসুল, ভাটিয়ারী বাজার, জলিল গেট, ফৌজদারহাট, মাদামবিবিরহাটসহ বিভিন্ন স্থানে মহাসড়ক অবরোধ করে মিছিল করেন তাঁরা। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে যান চলাচল বন্ধ থাকে, ফলে উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
পরবর্তীতে বিক্ষোভকারীরা রেলপথেও অবরোধ দেন, যার ফলে সীতাকুণ্ড রেলস্টেশনে চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেসসহ দুটি ট্রেন আটকা পড়ে।
রাত ১১টার দিকে বিক্ষোভকারীরা মহাসড়ক ও রেললাইন থেকে সরে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।