তিনি জানান, আকাশ চৌধুরীর জামিনের আবেদন করা হলে শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেন। তবে ১৫ জুন থেকে প্রতিদিন আদালতে হাজিরা দিতে হবে। যা দৃষ্টান্তমূলক। জামিনে এমন শর্ত তেমন দেওয়া হয় না বলে জানান তিনি।
আদালত সূত্র গেছে, গত ২৮ মে বিকেলে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাসের প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে হামলা চালায় এন্টি শাহবাগ মুভমেন্ট নামে সদ্য গজিয়ে ওঠা একটি সংগঠন।
হামলার পর ভাইরাল হওয়া ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে এন্টি শাহবাগ মুভমেন্ট কর্মীদের অতর্কিত হামলার পর প্রেসক্লাবের সংলগ্ন চট্টগ্রাম ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের সামনে আশ্রয় নেন গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের নেতা-কর্মীরা।
সেখানে একজন পুলিশ সদস্যকেও দেখা গেছে। আকাশ চৌধুরী পুলিশের চোখ এড়িয়ে নেতা-কর্মীদের পেছন যান। সেখানে দাঁড়িয়ে হঠাৎ একজনকে লাথি মারেন তিনি। এরপর ঘুরে আবার আরেক নারীকে লাথি মারেন। লাথি মারার ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয় এবং সমালোচনার ঝড় ওঠে। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ এক ছাত্রসহ দু‘জনকে আটক করে। পরে দ্রুত বিচার আইনে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। সেই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।
এ ঘটনার পর জামায়াতে ইসলামী আকাশ চৌধুরীকে নিজেদের কর্মী স্বীকার করে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে। পরে গত রোববার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে নগরের কোতোয়ালীর লালদীঘি মাঠ এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। ওইদিনই তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।