স্টাফ রিপোর্টার : চট্টগ্রামে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের উদ্দেশ্যে ছয় মাসব্যাপী পরিচালিত বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রামে মোট ৪৫ হাজার ৬৯৭টি আবেদন নিষ্পত্তি করেছে জেলা নির্বাচন কার্যালয়।
সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বশির আহমেদ।
তিনি জানান, গত ২২ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত চলা এই ক্রাশ প্রোগ্রামের আওতায় এনআইডি সংশোধনের কাজ দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করা হয়। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত প্রাপ্ত মোট আবেদন সংখ্যা ছিল ৪৫ হাজার ৬৯৭টি।
আবেদনের শ্রেণি অনুযায়ী নিষ্পত্তির তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘খ’ ক্যাটাগরিতে নিষ্পত্তি হয়েছে ৩৬ হাজার ৪৫৯টি, ‘খ (১)’ ক্যাটাগরিতে ৪ হাজার ৯৫০টি, ‘গ’ ক্যাটাগরিতে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার অধীনে নিষ্পত্তি হয়েছে ৪ হাজার ২৮৮টি এবং একই ক্যাটাগরিতে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার অধীনে নিষ্পত্তি হয়েছে আরও ২০ হাজার ৭৪৭টি আবেদন।
সবমিলিয়ে ২৬ হাজার ৭৯৩টি আবেদন অনুমোদন পেয়েছে, ৬ হাজার ১৮৩টি আংশিক মঞ্জুর এবং ৮ হাজার ৪৩২টি আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে।
বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৬০ থেকে ৭০টি নতুন সংশোধনের আবেদন জমা পড়ছে বলে জানান তিনি।
এনআইডি সংশোধনের কারণ সম্পর্কে বশির আহমেদ বলেন, বর্তমানে পাসপোর্ট, চাকরি, ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সেবায় এনআইডি বাধ্যতামূলক হওয়ায় কেউ কেউ বয়স কমিয়ে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে সেই তথ্য আবার এনআইডিতে সংশোধনের চেষ্টা করেন, যা অযৌক্তিক। অনেকের বিভিন্ন কাগজপত্রে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য থাকায়—যখন যে সেবা দরকার, সে অনুযায়ী তথ্য পাল্টানোর প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এতে জটিলতা তৈরি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, শুধু এনআইডি সংশোধন করলেই সমস্যার সমাধান হবে না। বরং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী নিজেদের রেকর্ড সংশোধনের উদ্যোগ নিতে হবে। তা না হলে তথ্যভিত্তিক বিভ্রান্তি থেকেই যাবে।