শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানার ষোলশহর এলাকায় এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি দুই নম্বর গেট ঘুরে পুনরায় ষোলশহরে গিয়ে শেষ হয়।
পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে বহিরাগত ছাত্রদল নেতাদের হামলায় তাদের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় যারা জড়িত সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
তাদের দাবি, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে প্রশাসন হোস্টেল খোলার জন্য রাজি হয়। কিন্তু ছাত্রদল হোস্টেল না খোলার জন্য প্রশাসনকে চাপ দেয়।
এজন্য প্রশাসন তালিকা প্রকাশ করেনি। বুধবার (২০ নভেম্বর) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেটিকে কেন্দ্র করে ঝামেলা করে ছাত্রদল।
বহিরাগতদের নিয়ে এসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে তারা। এসময় তারা হোস্টেলের জানালা-দরজা ভাঙচুর ও শিক্ষার্থীদের মারধর করে।
বিক্ষোভ মিছিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম কলেজ শিক্ষার্থী ইবনে হোসাইন, চবি সমন্বয়ক ফজলুল হক শ্রাবণ, আবু ওবায়দাহ, আদনান শরিফ, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ফাহিম, শিক্ষার্থী আল আমিন, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক মিনহাজ উদ্দীন, আহমেদ সাঈদ, আরমান শাহরিয়ার, তৌহিদুল ইসলাম, মহসিন কলেজ সমন্বয়ক এজিএম বাপ্পীসহ কয়েকজন সমন্বয়ক উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ নিয়ে চট্টগ্রামের দুই সমন্বয়ক দুই ধরনের অবস্থান নিয়েছেন। নিজে উপস্থিত না থাকলে চট্টগ্রামের অন্যতম সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি আন্দোলনের পক্ষে রয়েছেন। শুক্রবারের বিক্ষোভ মিছিলের ভিডিও ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, যারাই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং দখলদারিত্ব করবে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের আওয়াজ উঠবে। সাঈদ, ওয়াসীম, মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ।
তবে আরেক সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ব্যানারে শুক্রবারের কর্মসূচির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। আন্দোলন নিয়ে ফেসবুকে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি লিখেছেন, আজ চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো কর্মসূচি নেই।