তিনি জানান, তাদেরকে লুটপাট, বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার করা হয়।
ওইদিন দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং গোমস্তাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. হুময়ান রেজাকে আটক করে পুলিশ। গোমস্তাপুর উপজেলার নয়াদিয়াড়ী গ্রামের নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মামলা রয়েছে।
গোমস্তাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জামান উদ্দিনকে পুলিশে দেয় স্থানীয় জনতা।
গ্রেফতার আসামি জামাল উদ্দিন (৫৬) গোমস্তাপুর বাজারপাড়া এলাকার মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, শিবগঞ্জ পৌরসভার বাগানটুলী এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে মো. সাফিউল ইসলাম নিরব ওরফে কানা নিরবকে (২৭)। কানা নিরব বাগানটুলী এলাকার মো. রবিউল ইসলাম রবুর ছেলে এবং শিবগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
এদিকে, নাচোল থানা পুলিশের পৃথক মামলায় আরও দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন : নাচোল পৌরসভার ইসলামপুর গ্রামের মৃত বেলাল আনসারীর ছেলে মো. মঞ্জুর আনসারী (৪২)। তিনি আওয়ামী লীগের নাচোল পৌর শাখার সদস্য।
গ্রেফতার আরেক আ.লীগ নেতা নাচোলের ঘিওন ডাউনপাড়া গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে মো. আমিত হাসান মিঠুন (২৭)। তিনি আওয়ামী যুবলীগের নাচোল উপজেলা শাখার সক্রিয় সদস্য।
এছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মহারাজপুর এলাকা থেকে দুরুল হুদা এবং হুজরাপুর জেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকা থেকে মো. শহিদুল ইসলাম শহীদ নামের আরও দুই যুবলীগ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে সরকারি মালখানা লুটপাটের মামলা রয়েছে।
এদিকে, বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমীন ও গোলাম রাব্বানী ফটিক জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন নিতে আসলে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
রুহুল আমীন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং গোলাম রাব্বানী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ জানান, গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।