অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে বিজিবি (বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড) তাদের সবাইকে আটক করে জৈন্তাপুর ও ছাতক থানায় হস্তান্তর করে।
এ নিয়ে ৪ মে থেকে আজ পর্যন্ত বিএসএফ মোট ৯০১ জনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পুশ-ইন করেছে।
বিজিবির তথ্যমতে, আটক ব্যক্তিদের অধিকাংশই কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা। এ ছাড়া যশোরের অভয়নগর এবং বাগেরহাট জেলার কয়েকজনও রয়েছেন। সিলেট ৪৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হক জানান, আটককৃত সবার প্রাথমিক পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে এবং তারা বাংলাদেশি নাগরিক।
এদিকে, লালমনিরহাট জেলার তিন উপজেলার ছয়টি সীমান্ত দিয়ে অন্তত ৬৫ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করে বিএসএফ। গত বুধবার গভীর রাতে তাদের এই পুশ-ইনের চেষ্টা করা হয়। তবে বিজিবি ও স্থানীয় গ্রামবাসীর বাধার কারণে তারা কেউই বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারেনি।
বুধবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, তীব্র রোদের মধ্যে ৬৫ জন নারী, পুরুষ ও শিশু সীমান্তের ‘নো ম্যানস ল্যান্ডে’ খোলা জায়গায় অবস্থান করছেন। ভোরে এই দলের একজন ব্যক্তি তাঁর শিশু সন্তানের জন্য দুধ সংগ্রহ করতে বাংলাদেশ সীমান্তের লোকালয়ে আসেন। এ সময় স্থানীয়রা দুধ, কলা ও পানি দিয়ে সহায়তা করেন। ওই ব্যক্তির বরাতে স্থানীয়রা জানান, নো ম্যানস ল্যান্ডে আটকে পড়াদের মধ্যে অন্তত ১৩ জন ভারতের আসাম রাজ্যের বাসিন্দা। ভারত সরকার তাদের জোরপূর্বক ধরে এনে বাংলাদেশে ঠেলে দিচ্ছে।
এদিকে, নো ম্যানস ল্যান্ডে আটকে পড়াদের বিষয়ে আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লালমনিরহাট জেলার দুর্গাপুর বিওপির চওড়াটারী সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফ-এর মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিএসএফ আবার বৈঠকে বসার আশ্বাস দিয়ে ফিরে যায়।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম বলেন, “যদি তারা বাংলাদেশের নাগরিক হন, তাহলে আমরা সানন্দে গ্রহণ করব। কিন্তু তারা সবাই আসামের বাসিন্দা। সেখানে তাদের সুস্পষ্ট ঠিকানা রয়েছে এবং তারা ভারতে ফিরে যেতে চায়। বিএসএফ রাতের আঁধারে তাদের জোর করে বাংলাদেশে ঠেলে দিচ্ছে-এটি অমানবিক।”