শনিবার (১ মার্চ) দিবাগত রাত ১টার সময় উপজেলার তেঁতুলিয়া সদর ইউনিয়নের আজিজনগর গ্রামে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাত প্রবেশের খবর পুরো উপজেলায় ছড়িয়ে পড়লে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় মাইক দিয়ে সতর্ক করা হয় এবং অনেকে মহাসড়কে অবস্থান নেয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় রোববার (২ মার্চ) ভোরে তেঁতুলিয়ার ভজনপুর বাজারে ডাকাত সদস্যদের আটক করে ডিবি পুলিশ।
আটকরা হলেন – রংপুরের মিঠাকুপুর থানার সঠিবাড়ি হরিপুর গ্রামের মৃত আ. আজিজের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪১), দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানার আজিমপুর মির্জাপুর গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে তহিদুল ইসলাম (৪০), রংপুরের পীরগঞ্জ থানার লালদিঘী ফতেপুর মকিমপুর গ্রামের আ. জলিলের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৫), পীরগঞ্জ থানার লালদিঘী আজমপুর ফকির পাড়া গ্রামের বাদশা ফকিরের ছেলে হাসানুর (৪০), পীরগঞ্জ থানার সানের হাট পালানো শাহপুর গ্রামের আ. জব্বারের ছেলে আয়নাল (৩৮)।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার দিবাগত রাত ১টা ৫মিনিটে তেঁতুলিয়ার আজিজনগর গ্রামের বাংলাবান্ধা-পঞ্চগড় মহাসড়কের ১০০ গজ দক্ষিণে স্কুল শিক্ষক বেলায়েত হোসেনের বাড়িতে প্রাচীর টপকে প্রবেশ করে ডাকাতদল। পরে ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে হাত-পা বেঁধে মারধর করে বাড়ির মালিকদের।
ডাকাতরা নগদ প্রায় ৪০ হাজার টাকা ও ২.৫ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। ভিকটিমদের ডাক-চিৎকার শুনে আশপাশের সবাই বের হয়। ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে প্রায় সব গ্রামের মানুষ বের হয়। শেষে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ভজনপুর বাজার থেকে ডাকাতদলকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। এ ঘটনায় উপজেলাজুড়ে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক।
পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এস. এম. শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমাদের পুলিশ টিম তেঁতুলিয়াসহ পুরো জেলায় তৎপর থেকে সারারাত অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযানে পাঁচ ডাকাতকে আটক করা হয়। এ ঘটনার বিস্তারিত জানতে এবং জড়িত সবাইকে গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বিস্তারিত তুলে ধরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হবে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।