যখন মূত্রাশয়টি পূর্ণ হয়, তখন এর দেয়ালের প্রসারিত রিসেপ্টরগুলো মস্তিষ্কে সংকেত পাঠায় এবং আপনি প্রস্রাব করার তাগিদ অনুভব করেন। প্রস্রাব করার সময় মস্তিষ্ক মূত্রাশয়ের পেশীগুলিকে সংকুচিত হতে এবং স্ফিঙ্কটার পেশীগুলোকে শিথিল হওয়ার সংকেত দেয়, তখন মূত্রনালী দিয়ে প্রস্রাব প্রবাহিত হয়। যখন আপনি প্রস্রাব করতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তখন মস্তিষ্ক স্ফিঙ্কটার পেশীগুলোকে শক্ত করার সংকেত দেয় এবং প্রস্রাব ভেতরে থাকে।

বেশিক্ষণ প্রস্রাব ধরে রাখার ঝুঁকি কী?

মূত্রাশয় প্রায় এক পিন্ট প্রস্রাব ধরে রাখতে পারে, তবে মূত্রাশয় প্রায় অর্ধেক পূর্ণ হলেই সাধারণত প্রস্রাব করার তাগিদ শুরু হয়। বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে, মাঝে মাঝে প্রস্রাব আটকে রাখা তেমন কোনো বড় সমস্যা সৃষ্টি করে না। তবে আপনি যদি এটিকে অভ্যাস করে তোলেন তবে তার পরিণতি ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

প্রসারিত মূত্রাশয় : বেশিক্ষণ প্রস্রাব ধরে রাখলে তা মূত্রাশয়ের পেশীগুলোকে দুর্বল করে দিতে পারে। কারণ প্রস্রাব ধরে রাখলে মূত্রাশয় তার স্বাভাবিক ক্ষমতার বাইরে প্রসারিত হয়। ধীরে ধীরে বারবার স্ট্রেচিং পেশীগুলোকে দুর্বল করে দিতে পারে, তখন আপনার জন্য মূত্রাশয় সম্পূর্ণরূপে খালি করা এবং প্রস্রাব ধরে রাখা কঠিন হয়ে যায়।

ইউটিআই এর ঝুঁকি : দীর্ঘ সময় প্রস্রাব ধরে রাখলে মূত্রনালীর সংক্রমণের (ইউটিআই) ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এর কারণ হলো, প্রস্রাবের ব্যাকটেরিয়া আপনার মূত্রাশয়ে সংখ্যাবৃদ্ধি করার জন্য বেশি সময় থাকে। ইউটিআই প্রস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়া, শ্রোণীতে ব্যথা এবং ঘন ঘন প্রস্রাব করতে পারে।

কিডনির ক্ষতি : দীর্ঘ সময় প্রস্রাব আটকে রাখলে তা কিডনিতে ব্যাক আপ হতে পারে, যা ধীরে ধীরে সংক্রমণ বা কিডনির ক্ষতি হতে পারে। এই অবস্থা ভেসিকোরেটেরাল রিফ্লাক্স নামে পরিচিত। তবে কিডনিকে সুস্থ রাখতে চাইলে এ ধরনের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।