বুধবার (২৩ জুলাই) রাতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নাটোর সদর উপজেলার বামনডাঙ্গা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
এর আগে বুধবার নিহত জাহিদুল ইসলামের আত্মীয় নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে সড়ক পরিবহন আইনে বড়াইগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেন।
নাটোর বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাঈল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার ট্রাকচালক মহির উদ্দিন নাটোর জেলার বামনডাঙ্গা গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার ছেলে।
নিহতরা হলেন : কুষ্ঠিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ এলাকার মৃত জিল্লুর রহমানের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৫৫), তার স্ত্রী সেলিনা খাতুন (৫০), শাশুড়ি আনজুমান (৭৫), ছোট বোন রওশন নারা আক্তার ইতি (৪৮), চাচতো বোন আনোয়ারা খাতুন (৫৫), চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন আনু (৫০) ও শালিকা সীমা (৩৫) এবং একই গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে মাইক্রোবাস চালক শাহাবুদ্দিন (৪২)।
জানা যায়, বুধবার সকালে কুষ্ঠিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ এলাকার জাহিদুল ইসলাম তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রোগী দেখতে সিরাজগঞ্জ যাচ্ছিলেন।
এসময় মাইক্রোবাসটি বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের বড়াইগ্রাম উপজেলার আইড়মারী (তরমুজ পাম্প) এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মহাসড়কে মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়।
এসময় ঘটনাস্থলে মাইক্রোবাসে থাকা নারীসহ ৫ জন নিহত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে একজন এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়। এতে ট্রাকচাপায় একই পরিবারের সাতজনসহ ৮ জনের মৃত্যু হয়।
নাটোর বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশের ওসি ইসমাঈল হোসেন বলেন, নাটোরে ট্রাক ও মাইক্রোবাস মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ ৮ জন নিহতের ঘটনায় সড়ক পরিবহন আইনে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
এ ঘটনায় পলাতক ট্রাক চালককে র্যাব গ্রেফতার করে। পরে বড়াইগ্রাম থানায় তাকে হস্তান্তর করা হয়।