
শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে দুর্গাপুর উপজেলার পৃথক দুটি স্থানে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা কার্যালয়ের সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করেন।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া পিবিআই ময়মনসিংহ কার্যালয়ের পুলিশ সুপার মো. রকিবুল আক্তার আজ সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, অভিযানে সাজিবুল ইসলাম ওরফে অপূর্ব (২৮) ও মো. বাকী বিল্লাহ (৩০) নামের দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ হত্যাকাণ্ডে বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে এ মুহূর্তে এর বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না। এ ছাড়া মামলাটি থানা-পুলিশের কাছ থেকে পিবিআইয়ে স্থানান্তরের কার্যক্রমও চলমান।
নিহত শফিকুল ইসলাম দুর্গাপুরের চণ্ডীগড় ইউনিয়নের নয়াগাঁও গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি জামালপুর পুলিশ লাইনসের বেতার বিভাগে এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এলাকাবাসী, পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শফিকুল ইসলাম ছুটি নিয়ে গত বুধবার বাড়িতে আসেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি দুর্গাপুর পৌর শহরের বাগিচাপাড়া এলাকার বাসা থেকে বের হন।
সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে পানমহাল রোড এলাকা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত দেশি অস্ত্র নিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে সর্বশেষ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার কিছুক্ষণ পর রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় শফিকুল ইসলামের বাবা গতকাল শুক্রবার সকালে বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতনামা ছয়জনকে আসামি করা হয়।
এদিকে এ হত্যাকাণ্ডের একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ফুটেজে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে শফিকুল ইসলাম প্যান্ট ও শীতের পোশাক পরে পৌরশহরের পানমহাল রোড দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন।
এ সময় আকস্মিকভাবে তিন যুবক তাঁর ওপর হামলা করে। ওই তিনজন রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শফিকুল ইসলামকে এলোপাথাড়ি কোপায়। ওই যুবকদের মধ্যে তিনজনই জ্যাকেট পরিহিত ছিল।
নিহত শফিকুলের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এটা জানি না। আমার ছেলে খুবই শান্ত নিরীহ ছিল। ছেলেকে আর ফিরে পাব না জানি। কিন্তু জড়িতদের দ্রুত আটক করে আইনের মাধ্যমে ফাঁসি দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
