কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পর্নোগ্রাফি মামলায় যুব অধিকার পরিষদের দুই নেতাসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৬ মে) দুপুরে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের আটক করা হয়।
আটক আসামিরা হলেন- উপজেলা শিলাইদহ ইউনিয়ন যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি আবু জাফর (৩৩) ও সাধারণ সম্পাদক নয়ন শেখ (২০)। জাফর শিলাইদহ ইউনিয়নের নাউতি গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে এবং নয়ন একই গ্রামের শাজাহান শেখের ছেলে।
অন্যান্যরা হলেন, পৌরসভার দুর্গাপুর এলাকার মৃত আশরাফ হোসেনের ছেলে আশিকুর রহমান সজিব (৩৭), শিলাইদহের জাহেদপুর গ্রামের মতিয়ার মণ্ডলের ছেলে তারেক মণ্ডল (৩৭) এবং ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার নাঙ্গলবাধ এলাকার রুস্তম মল্লিকের ছেলে রাব্বি মল্লিক (২৬)।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের নিকলী থানার রসুলপুর গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে মুনছুর সৌদিআরব থাকেন। এক ভাবির মাধ্যমে মুনছুরের সঙ্গে পরিচয় হয় ঘটনার শিকার ওই নারীর। তারা স্মার্টফোনে ইমোতে ভিডিও কলে কথা বলতেন। এক পর্যায়ে তাদের মাঝে গভীর সম্পর্ক হয় এবং ইমো কলে অশ্লীল ভিডিওতে জড়িয়ে পড়েন ওই নারী। এরপর মুনছুর সেই অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে অন্যান্য আসামিদের মাধ্যমে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই নারীর কাছে আট লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে ওইদিন রাতে ওই নারী বাদী হয়ে ছয়জনের নামে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন। মামলায় পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে। প্রধান আসামি মুনছুর প্রবাসে থাকায় তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি পুলিশ।
ঘটনার শিকার ওই নারী বলেন, আমার ভাই সৌদি আরব থাকেন। ভাবির মাধ্যমে মুনছুরের সঙ্গে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে মুনছুরের প্ররোচনায় পড়ে গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি এবং ইমোতে অশ্লীল ভিডিওতে কথা বলা শুরু করি। কিন্তু মুনছুর সেই ভিডিও মোবাইলের ধারণ করে অন্যান্য আসামিদের মাধ্যমে আট লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি উপযুক্ত বিচারের আশায় থানায় মামলা করেছি।
এ সব তথ্য নিশ্চিত করে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সোলায়মান শেখ বলেন, ইমোতে এক নারীর অশ্লীল ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে আট লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেছেন ওই নারী। মামলায় পাঁচজনকে গত বৃহস্পতিবার রাতে আটক করে শুক্রবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।