বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর সিলোনীয়া মাদরাসা সংলগ্ন সালেহ আহমেদের দোকানের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পেশাগত কাজে বাড়ি থেকে বের হয়ে শহরের দিকে আসার সময় তার বাড়ি সংলগ্ন ওই মাদরাসা সড়কে ৪টি মোটরসাইকেলে করে একই ইউনিয়নের যাত্রাসিদ্দি গ্রামের ওমর ফারুক প্রকাশ জামাই ফারুকের নেতৃত্বে স্থানীয় সোহাগ, মামুন, তারেক রাহিদ, রাসেল ও কিরণসহ একদল সন্ত্রাসী সাংবাদিক ওমর ফারুকের ওপর হামলা চালায়।
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক তাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা।
এ ঘটনায় ফেনী প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিটি ও সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদসহ দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে। ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ফেনীর পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান জানান, সাংবাদিকদের ওপর হামলার খবর পেয়েই তিনি হাসাপাতালে গিয়ে আহত ওমর ফারুকের চিকিৎসাসহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন।
সেই সঙ্গে এ হামলায় জড়িতদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না উল্লেখ করে পুলিশ সুপার আরও বলেন, শিগগিরই দোষীদের আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ জানুয়ারি দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার ‘ফেনীতে হত্যা মামলার আসামি তাঁতী লীগ নেকার বিরুদ্ধে বালু লুটের অভিযোগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে সাংবাদিক ওমর ফারুক।
ওই সংবাদে উল্লেখ করা হয়, বালু লুটে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন জেলা যুবদল নেতা শিপন, ইউনিয়ন যুবদল নেতা জামাই ফারুক, ইউনিয়ন তাঁতী দলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর, সদর উপজেলা শ্রমিক দল নেতা মামুন, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সেক্রেটারি রাফিকসহ অনেকেই।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হামলায় জড়িতরা তাকে খুঁজে না পেয়ে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিক ওমর ফারুকের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকজনকে হুমকি দিয়ে আসে।