শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিতে নতুন এই দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আমাদেরকে মনে রাখতে হবে হাজারো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এই নতুন স্বাধীনতা কেবল একটি সরকারের পতন করে আরেকটি সরকারকে বসানোর জন্যই ঘটেনি। জনগণ বরং রাষ্ট্র জেঁকে বসা একটি ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপের মাধ্যমে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষা থেকে এই অভ্যুত্থানে সারা দিয়েছিল। যেন জনগণের অধিকারভিত্তিক এবং মর্যাদাভিত্তিক একটি রাষ্ট্র পুনর্গঠিত হয়। সেই লক্ষ্যে আমরা জাতীয় নাগরিক পার্টি—এনসিপি’র ঘোষণা দিচ্ছি।
তিনি বলেন, এটি হবে একটি গণতান্ত্রিক সমতাভিত্তিক ও জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দল। আমরা মনে করি ২৪ এর জুলাই ছাত্রজনতার অভ্যুত্থান আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার লড়াই সূচনা করেছে।
নাহিদ বলেন, একটি গণতান্ত্রিক নতুন সংবিধান প্রণয়ের মাধ্যমে আমাদেরকে সংবিধানিক স্বৈরতন্ত্রপূর্ণ প্রতিষ্ঠার সব সম্ভাবনার অবসান ঘটাতে হবে। আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন আমাদের অন্যতম প্রাথমিক লক্ষ্য। আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিকে জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। বাংলাদেশে ভারত-পাকিস্তানপন্থীর কোনো ঠাঁই হবে না।
তিনি বলেন, আমরা এমন একটি রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিকাশ চাই যেখানে সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বস্তরে বিভেদের বদলে ঐক্য প্রতিশোধের বদলে ন্যায়বিচার এবং পরিবার তন্ত্রের বদলে মেধা মানদণ্ডের প্রতিষ্ঠিত হবে। আমাদের রাজনীতিতে দুর্নীতি ও স্বজন প্রীতির কোনো স্থান হবে না।
‘আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিকেশনে নামাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বরকে মূলধারায় তুলে আনা হবে। আমাদের রিপাবলিকেশনে সাধারণ মানুষই হবে ক্ষমতার উৎস। তাদের সব ধরনের গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকারের সুরক্ষায় হবে আমাদের রাজনীতির মূলমন্ত্র।’
রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিককে সমান গুরুত্ব প্রদান ও সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলেন নাহিদ ইসলাম।